অর্ণব আইচ: সেদিন রাতে শেষ মুহূর্তে ঠিক কী হয়েছিল যাদবপুরের (Jadavpur University) মেন হস্টেলে? বাংলায় প্রথম বর্ষের পড়ুয়া কি আত্মহত্যা করেছিলেন না কি ঘটেছিল অন্যকিছু? সেই মুহূর্তের সঠিক তথ্য পেতে এবার ধৃত সৌরভ চৌধুরী-সহ কয়েকজনকে লালবাজারে জেরা করছেন খোদ কলকাতা পুলিশের কমিশনার। গত দেড় ঘণ্টা ধরে চলছে জেরা পর্ব। সৌরভ শুধু নয়, আরও কয়েকজনকে জেরা করা হতে পারে বলে খবর। সন্ধে সোয়া ছ’টা নাগাদ আদালত থেকে শেখ নাসিম আখতার, হিমাংশু কর্মকার, সত্যব্রত রায়কে সরাসরি লালবাজারে আনা হয়।
যাদবপুর ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিন তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে যাদবপুর থানা থেকে লালবাজারে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের মধ্যে অন্যতম সৌরভ। তাঁর পরনে লাল টিশার্ট ও ধূসর ট্র্যাক প্যান্ট। জেরা পর্বে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে রয়েছেন একাধিক দুঁদে পুলিশ অফিসার। জেরার মুখে তাঁরা দ্রুত ভেঙে পড়বে বলে আশা পুলিশ আধিকারিকদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, যাদবপুরের এক মেস কনভেনারকে জেরা করা হয়েছে। সেখান থেকে জানা গিয়েছে, জুনিয়ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়রদের খাবার পৌঁছে দিয়ে আসত। ধৃতদের তিনটে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সেগুলির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে বলে খবর।
এদিকে সরকারি আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত সঠিক পথেই চলছে। তবে ধৃতরা তদন্তের অভিমুখ বারবার বদলের চেষ্টা করছে। অভিনয় করছে অভিযুক্তরা। তাঁর কথায়, “ওঁরা সুসংগঠিত অপরাধ করেছে। তবে সুদক্ষ অভিনয় করতে পারছে না।” নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা চালাচ্ছে। বারবার বয়ান বদল করছে বলেও খবর। তবু লাগাতার জেরার মাধ্যমে অভিযুক্তদের পেট থেকে সত্য বের করে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশের দুঁদে কর্তারা।