সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে অপারেশন ‘কাম ডাউন’ নিয়েই এখন ব্যস্ত ভারতীয় সেনা প্রধান৷ আর সেই অপারেশনেই নতুন সংযোজন মুন্নাভাইয়ের ‘জাদু কী ঝাপ্পি’৷ এই ঝাপ্পি দিয়েই দক্ষিণ কাশ্মীরের মন জয় করছেন কর্নেল যাদব৷
গুরগাঁওয়ের কর্নেল ধর্মেন্দ্র যাদব এখন কাশ্মীরের মুন্নাভাই৷ রোজ ভোরেই জিপ নিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন কাশ্মীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর জায়গা হিসাবে চিহ্নিত অনন্তনাগ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে৷ এই অনন্তনাগেই সেনাবাহিনীর এনকাউন্টারে নিহত হয়েছিল বুরহান ওয়ানি৷ তারপর থেকেই কার্যত স্বাভাবিক জীবনযাপনের সংজ্ঞা ভুলে গিয়েছিলেন অনন্তনাগের বাসিন্দারা৷ তাদেরই ছন্দে ফেরাতে এখন অপারেশন ‘কাম ডাউন’ চলছে কাশ্মীরে৷ এতদিন ধরে অনন্তনাগ জেলাকে ঘিরে রেখেছিল শ্মশানের নীরবতা৷ সেই নীরবতা কাটিয়ে ‘জাদু কী ঝাপ্পি’র সাহায্যেই ছন্দে ফিরতে চাইছে কাশ্মীর৷
অনন্তনাগে দাঁড়িয়েই কর্নেল জানিয়েছেন, মাঝে মাঝে মুন্নাভাইয়ের ভাষায় কথা বলতে হয় তাঁকে৷ এই ভাষাই এখন বন্ধুত্বের বীজ রোপন করছে কাশ্মীরে৷ ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ খ্যাত এই ‘ঝাপ্পি’ এখন কাশ্মীরের মানুষের কাছে সত্যিই জাদুর৷ কর্নেলের এই ঝাপ্পির অংশীদার কেবল বয়স্করা নয়, খুদেরাও৷ সেনাবাহিনীকে আর ভয় পায়না তারা৷
সেনাবাহিনীর তরফ থেকে ওই জেলায় ও তার সংলগ্ন এলাকায় স্বাভাবিক ছন্দ ফিরিয়ে আনার যে প্রয়াস চালানো হচ্ছে তারই নিদর্শন পাওয়া গেল এক স্কুল শিক্ষকের কথায়৷ গুলাম মহিউদ্দিন নামের ওই স্কুল শিক্ষক বললেন, সেনার পক্ষ থেকে অনেক এলাকাতেই শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হয়েছে তা ঠিকই, কিন্তু একইভাবে শিশুদের শিক্ষায় কোন বাধা না আসে, তা নিশ্চিত করেছেন স্বয়ং কর্নেল৷ আপাতত একটি অস্থায়ী স্কুলের ব্যবস্থাও করেছে সেনাবাহিনী৷
হয়ত, এই জাদুর ‘ঝাপ্পি’ দিয়েই একদিন সব রক্তের দাগ মুছে, ফের ভারতীয়দের ভূস্বর্গ হয়ে উঠবে কাশ্মীর৷