সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক সপ্তাহ হয়ে গেল অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) এলুরু (Eluru) শহরে ‘রহস্যময়’ অসুখের। এপর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬০০। মারা গিয়েছেন একজন। কিন্তু রোগের সঠিক উৎস কী তা এখনও অজানা। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ দল তা খুঁজে বের করতে চেষ্টা করে চলেছেন। এখনও পর্যন্ত যেটা সবথেকে বেশি ভাবাচ্ছে তা হল আক্রান্তদের খাবারে মেলা অস্বাভাবিক উপাদান। মনে করা হচ্ছে, সম্ভবত এখান থেকেই ছড়িয়েছে সংক্রমণ।
বৃহস্পতিবার একই ধরনের লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আরও দু’জনের মৃত্যুর খবর এলেও সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ওই দুই আক্রান্তের অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতাও ছিল। এরই মধ্যে শুক্রবার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একটি ভারচুয়াল বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডি (YS Jaganmohan Reddy)। তবে সামগ্রিক ভাবে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সরকারি হিসেবে শুক্রবার মাত্র চারজন আক্রান্তের কথা জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৬১৩। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন এখনও হাসপাতালে ভরতি থাকলেও বাকিদের চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: এবার থেকে টি-শার্ট, জিনস ও স্লিপার পরে কর্মক্ষেত্রে যেতে পারবেন না সরকারি কর্মীরা]
কিন্তু কেন হচ্ছে এই অসুখ? তা এখনও পরিষ্কার নয়। এইমসের বিশেষজ্ঞরা আক্রান্তদের রক্তের নমুনায় শিসা ও নিকেল পেলেও তাঁদের ব্যবহৃত জলে কিছুই পাননি। এদিকে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউট্রিশন’ ভাতের মধ্যে পারদ ও সবজিতে প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক পেয়েছে। আবার ‘WHO প্রতিনিধিদের সন্দেহ, কোভিড (Covid-19) রুখতে স্যানিটাইজেশনের জন্য ছড়ানো ব্লিচিং পাউডার ও ক্লোরিন থেকেই সম্ভবত এই অসুখের উৎপত্তি। এই নানা রকম দাবির মধ্যে থেকে এখনও কোনও একটি কারণকে নির্দিষ্ট করে বলা যায়নি।
এদিকে অসুখকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক বাড়ছে। জগনমোহন সরকারকে দ্রুত সাধারণ মানুষের মন থেকে এই ভয় তাড়াতে হবে বলে দাবি করেছেন বিরোধী নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তাঁর কথায়, ‘‘খাবার জলে শিসা ও নিকেল পাওয়ার কথা ছড়াচ্ছে। এর ফলে আতঙ্ক বাড়ছে। সরকারকে দ্রুত এর ব্যবস্থা নিতে হবে। যথাযথ উপায়ে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে।’’
[আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলনের দখল নিয়েছে ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’, বিস্ফোরক অভিযোগ রবিশংকর প্রসাদের]
গত শনিবার রাত থেকে হঠাৎই রাজ্যের পশ্চিম গোদাবরী জেলার এলুরুতে আক্রান্ত হতে শুরু করেন বহু মানুষ। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে বহু শিশুও। মাথা ঘোরা, মাথা যন্ত্রণা, বমি বমি ভাব ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে আক্রান্তদের মধ্যে।