দীপঙ্কর মণ্ডল: রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন পক্ষপাত দোষে দুষ্ট, এই অভিযোগ হামেশাই করে থাকেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। রবিবার তিনি ১৯ জন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসারের তালিকা প্রকাশ করলেন। ধনকড়ের অভিযোগ, রাজনৈতিক কাজে লাগাতেই অবসরপ্রাপ্ত এই আইপিএসদের দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যপালের বক্তব্য, একদিকে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএসদের কাজে লাগানো হয়েছে। অন্যদিকে, যোগ্য অফিসারদের বসিয়ে রাখা হয়েছে। এই প্রবণতা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। মুখ্যমন্ত্রীকে উল্লেখ করে এদিন রাজ্যপাল যে টুইট করেছেন, সেখানে বিষয়টিকে গভীর উদ্বেগের বলে বর্ণনা করেছেন ধনকড়। ১৯৮৫ সালের আইপিএসদের বেশি করে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। ১৯ জন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসারকে পুনর্নিয়োগ করে কোন কোন দায়িত্বে আনা হয়েছে তার তালিকাও প্রকাশ করেছেন। তাঁর দাবি, বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই কাজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অবসরপ্রাপ্ত আইপিএসদের ফের দায়িত্ব দিয়ে গণতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে বলেও মনে করেন রাজ্যপাল।
[আরও পড়ুন: রক্তচাপ স্বাভাবিক, বলছেন কথা, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি]
পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপালের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে নবান্নর বিরোধ তৈরি হয়। শিক্ষা-সংস্কৃতি, শিল্প-বাণিজ্য, আইন-শৃঙ্খলা-সহ সমস্ত বিষয়ে তিনি সরকারি নীতির সমালোচনা করতে শুরু করেন। তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা রাজ্যপালের বদলে ‘পদ্মপাল’ বলতে শুরু করেন। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরাও ধনকড়ের সমালোচনায় সরব হন। তিনি বিজেপির হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেন। রাজ্যপাল যদিও এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দৈনিক সমালোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। দু’দিন আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (J P Nadda) কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে তিনি ফের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেছিলেন, “আগুন নিয়ে খেলবেন না। আপনি ক্ষমা চেয়ে নিন।”