নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: সূচি নির্ধারিত ছিলই। সেইমতো সোমবার ঘড়ির কাঁটা দুপুর ঠিক ১২টা ছুঁতেই দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে হাজির হয়ে মনোনয়ন পেশ করলেন NDA’র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। এবং উল্লেখযোগ্যভাবে চোখে পড়ার মতো ঘটনা হল, মোদি-শাহ-রাজনাথ সিং-নীতীন গড়করি-জে পি নাড্ডাদের মতো ব্যক্তিত্ব দ্বারা পরিবৃত হয়ে ধনকড় নিজের মনোনয়ন জমা দিলেন। মনোনয়নে সই করলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদি। আর এতেই আরেকবার স্পষ্ট হল, বাংলার সদ্যপ্রাক্তন রাজ্যপাল দিল্লি বিজেপির (BJP) কতটা ঘনিষ্ট।
শনিবার বিজেপি সংসদীয় কমিটি উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করার পর রবিবারই রাজ্যপাল পদে ইস্তফা দিয়েছেন জগদীপ ধনকড়। তারপর আর এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে সোমবার দুপুরেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দু’জনের পরনেই ছিল নীল-সাদা জামা। এছাড়া ছিলেন অমিত শাহ (Amit Shah), জে পি নাড্ডা (JP Nadda), রাজনাথ সিংরা। মনোনয়নের পর ধনকড় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ”খুব ভাল লাগছে। একজন সাধারণ মানুষ থেকে এত বড় একটা দায়িত্বের জন্য মনোনীত হব, স্বপ্নেও ভাবিনি। ”
[আরও পড়ুন: গান্ধীজির চেয়ে কম নন সাভারকর, সংস্কৃতি মন্ত্রকের পত্রিকা নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক]
ধনকড়ের সঙ্গে মোদি-শাহর ধারাবাহিক যোগাযোগের কথা জানেন সকলে। রাজ্যপাল থাকাকালীন মাঝেমধ্যে বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লি গিয়ে শাহর দরবারে নালিশ জানাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এই তো গত সপ্তাহে দার্জিলিং থেকে সোজা দিল্লি উড়ে যান তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন জগদীপ ধনকড়। কী কথা হয়েছিল দু’জনের, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় জোর চর্চা। পরেরদিন মোদির সঙ্গেও দেখা করেছিলেন ধনকড়। তখনও তাঁর উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার তেমন কোনও ইঙ্গিত ছিল না।
[আরও পড়ুন: ডাক্তার হতে চায় আলিয়া, ইঞ্জিনিয়ারিং লক্ষ্য অভয়ের, ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী বাংলার ICSE কৃতীরা]
মাত্র ২ দিনের মধ্যেই সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেল। এনডিএ-র পদপ্রার্থী হয়ে মনোনয়নও জমা দিলেন। আগামী ৬ অগাস্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ১০ তারিখ ফলাফল। সংসদের সংখ্যাতত্ত্ব বলছে, ধনকড়ের জয়ের পথ খুবই মসৃণ। তবে তাঁর প্রতিপক্ষ রয়েছেন। বিরোধীদের মনোনীত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কংগ্রেসের মার্গারেট আলভা। তিনি মনোনয়ন জমা দেবেন মঙ্গলবার।