অর্ণব আইচ: শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল থেকে উধাও কুখ্যাত আসামী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুলস্থুল পরিস্থিতি। আসামীকে ধরতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার জেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ জেলের তরফে মোট ৮ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল আসামীর উপর নজরদারির জন্য।
জানা গিয়েছে, ওই আসামীর নাম রাজ কুমার রাই। গত জানুয়ারি মাসে বেলেঘাটা এলাকায় একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। তাতে মূল অভিযুক্ত ছিল রাজকুমার। তার খোঁজে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। জানা যায়, নেপালে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত। পরে কলকাতায় ফিরতেই গ্রেপ্তার করা হয় রাজকুমারকে। আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজত হয় তার। প্রেসিডেন্সি জেলে ছিল রাজকুমার।
[আরও পড়ুন: বিমানবন্দর নয়, আজ বিকেলে রবীন্দ্র সদনেই গান স্যালুটে KK’কে চিরবিদায়, কলকাতা ফিরেই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী]
বুধবার সকালে প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, জেলে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছিল রাজকুমার। সেই কারণে ২৫ মে তাঁকে ভরতি করা হয়েছিল শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যায় রাজকুমার। টের পেতেই শুরু হয় খোঁজ। গোটা হাসপাতালে চিরুনি তল্লাশি চালিয়েও হদিশ মেলেনি।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জেল কর্তৃপক্ষ থানা বা আউটপোস্টকে না জানিয়েই হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল রাজকুমার। কিন্তু কেন? কীভাবেই পালাল আসামী, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ভিসিটর্সের ভিড়ের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চম্পট দিয়েছে রাজকুমার। তার হদিশ পেতে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ।