সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবারই পশ্চিমী দেশগুলিকে নিশানা করে বার্তা দিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। বুধবারও ফের কড়া বার্তা দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, ভারত কারওর অনুগত হয়ে থাকবে না। জাতীয় স্বার্থের জন্য যা দরকার, ভারত সেই পদক্ষেপই নেবে। অন্য কোনও দেশের অনুমোদনের অপেক্ষা করবে না ভারত (India)। নিজের স্বাধীন পরিচয় বজায় রেখেই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করা হবে। নিজের শর্তেই অন্য দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে ভারত।
দু’দিন ধরে চলছে রাইসিনা ডায়লগ। বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রী এবং প্রতিনিধিদের সামনে এহেন বার্তা দেওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। আজকে জয়শংকর বলেছেন,”নিজের পরিচয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী আমরা। আমি মনে করি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভারতের স্বতন্ত্র পরিচয় বজায় রাখা খুবই জরুরি। অন্য দেশ গুলির মন রেখে চলার দিন শেষ ভারতের। ভারত আর তাদের অনুকরণ করবে না।” এছাড়াও তিনি বলেন, ভারতকে অন্যান্য দেশগুলি নিজের মত করে ব্যাখ্যা করে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশের মতামত নেওয়ার কথা ভাবে ভারত। “সেই দিন ফেলে আসার সময় এসে গিয়েছে” মত জয়শংকরের।
[আরও পড়ুন: বুলডোজার চালিয়ে মন্দির ভাঙার প্রতিবাদে পথে বিজেপি, কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি]
সম্প্রতি মার্কিন (USA) কমিটি ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করে। সেখানে ভারতের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে দাবি করা হয়। যদিও এই কমিটির সঙ্গে ভারত বিরোধী মৌলবাদী সংগঠনের যোগাযোগ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে ভারত মুখ না খুললেও মনে করা হচ্ছে, নাম না করে আমেরিকাকে একহাত নিলেন জয়শংকর। এর আগেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের নিরপেক্ষ অবস্থানকে ‘নড়বড়ে’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাছাড়াও রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়েও সুর চড়িয়েছিল রাশিয়া। এই সব প্রসঙ্গ টেনেই বিদেশমন্ত্রীর আজকের মন্তব্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিন জয়শংকর আরও বলেন, অতীতে বিদেশনীতির ক্ষেত্রে ভারত যে ভুল করেছিল, তা সংশোধন করে এগিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য তাঁর। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেশ জুড়ে চলছে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’। সেই প্রসঙ্গে জয়শংকর বলেছেন, “আমরা ২৫ বছর এগিয়ে থেকে ভাবনা চিন্তা করছি।” স্বাধীন দেশ হিসাবে ৭৫ বছর পার করার পরে অন্য কারোর থেকে অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না, এমনটাই মত ভারতের বিদেশমন্ত্রীর।
[আরও পড়ুন: ছিঃ! গরুকে ধর্ষণের অভিযোগ উত্তরপ্রদেশে, লখনউয়ে ধৃত অভিযুক্ত]