shono
Advertisement
Jammu and Kashmir

ভোটগণনার আগেই পাঁচ বিধায়কের 'মনোনয়ন' কাশ্মীরে! বাড়ছে ম্যাজিক ফিগার, ক্ষুব্ধ কংগ্রেস

এটা ‘গণতান্ত্রিক নীতি এবং সংবিধানের উপর আক্রমণ’, অভিযোগ কংগ্রেসের।
Published By: Subhajit MandalPosted: 12:49 PM Oct 06, 2024Updated: 12:49 PM Oct 06, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন মিটেছে। ভোটগণনা ৮ অক্টোবর। কিন্তু সেখানে নতুন সরকার গঠনের আগেই বিধানসভায় পাঁচ সদস্যের মনোনয়ন দিয়ে ফেলেছে কেন্দ্র। যার তীব্র বিরোধিতা করল কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতৃত্ব ওই পদক্ষেপকে ‘গণতান্ত্রিক নীতি এবং সংবিধানের উপর আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছে। সেই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহাকে পাঁচজন প্রতিনিধির মনোনয়ন অনুমোদন করা থেকে বিরত থাকার আর্জি জানিয়েছে।

Advertisement

জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯-এ করা সংশোধনী অনুসারে বিধানসভায় পাঁচজন মনোনীত সদস‌্য থাকবেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শে নামগুলিতে অনুমোদন দেবেন লেফটেন‌্যান্ট গভর্নর। ২০২৩-এর ২৬ জুলাইয়ের ওই সংশোধন অনুসারে মনোনীত সদস‌্য-সহ বিধানসভায় মোট সদস‌্য সংখ‌্যা হবে ৯৫। কোনও পক্ষকে সংখ‌্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে তাদের সঙ্গে ৪৮ জন সদস‌্য থাকতে হবে। জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনের অধীনে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে কাশ্মীরি পণ্ডিত (কেপি) এবং পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর (পিওজেকে) থেকে উদ্বাস্তুদের প্রতিনিধিত্ব-সহ পাঁচজন সদস্যকে মনোনীত করার ক্ষমতা রয়েছে। সেই ক্ষমতাবলেই পাঁচজন প্রতিনিধিকে মনোনয়ন দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

তাতেই প্রবল আপত্তি কংগ্রেসের। শনিবার জম্মু ও কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রবিন্দর শর্মা বলেন, “আমরা জম্মু ও কাশ্মীরে সরকার গঠনের আগে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের পাঁচজন বিধায়কের মনোনয়নের বিরোধিতা করছি। এ ধরনের যে কোনও পদক্ষেপ গণতন্ত্র, জনগণের রায় এবং সংবিধানের মৌলিক নীতির ওপর আঘাত।” কংগ্রেস নতুন সরকার গঠনের পরেই মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। তা না হলে অন্য যে কোনও পদ্ধতি গ্রহণ করা হলে তা জনগণের রায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে। তাঁর যুক্তি লেফটেন্যান্ট গভর্নরের শুধুমাত্র মন্ত্রী পরিষদের পরামর্শের ভিত্তিতে কাজ করা উচিত, যা নির্বাচনের পরে গঠিত হবে।

তিনি বলেন, “নির্বাচনের পরে সংখ্যাগরিষ্ঠ বা সংখ্যালঘু মর্যাদা পরিবর্তন করার জন্য মনোনয়নের বিধানের অপব্যবহার করা ক্ষতিকারক হবে।” সরকার গঠনের আগে এই ধরনের মনোনয়নকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি মনে করিয়ে দেন যে কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং অকাল মনোনয়ন নির্বাচনের ফলাফলকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯-এ করা সংশোধনী অনুসারে বিধানসভায় পাঁচজন মনোনীত সদস‌্য থাকবেন।
  • কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শে নামগুলিতে অনুমোদন দেবেন লেফটেন‌্যান্ট গভর্নর।
  • ২০২৩-এর ২৬ জুলাইয়ের ওই সংশোধন অনুসারে মনোনীত সদস‌্য-সহ বিধানসভায় মোট সদস‌্য সংখ‌্যা হবে ৯৫।
Advertisement