সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর কেটে গিয়েছে পাঁচ বছর। ভারতীয় বায়ুসেনার অন্দরে সেই ঘা এখনও দগদগে। এর মাঝেই জম্মুর বায়ুসেনা স্টেশনে চলল ড্রোন হামলা। বড়সড় ক্ষতি করতে না পারলে নিরাপত্তার ঢিলেঢালা অবস্থা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল জম্মু বিমানবন্দরের এই হামলা। পাশাপাশি, জঙ্গি হামলার নয়া ছকও সামনে এনে দিল এই বিস্ফোরণ। এর পরই দেশের বিভিন্ন বিমানঘাঁটি এবং বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রবিবার ভোর রাতে মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে জোড়া বিস্ফোরণ হয় জম্মু (Jammu) বিমানবন্দরের এয়ার ফোর্স স্টেশনে। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, রিমোট নিয়ন্ত্রিত ড্রোন ব্যবহার করে হেলিপ্যাডের কাছে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বড় ক্ষয়ক্ষতি না হলেও হামলার টার্গেট ছিল হ্যাঙ্গার এরিয়া, এয়ার ট্রাফিক সিগন্যাল বিল্ডিং বলে সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, হ্যাঙ্গার এরিয়াতে MI-17 কপ্টার, পণ্যবাহী বিমান রাখা থাকে। আর ট্রাফিক সিগন্যাল বিল্ডিংও সামরিক ঘাঁটির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ড্রোনটি বেশকিছুক্ষণ হেলিপ্যাড এরিয়ার আশপাশে রাখা ছিল। তবে এদিনের ড্রোন মারফত হামলা নতুন ধরন সামনে এনে দিল বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
[আরও পড়ুন: Jammu বিমানবন্দরে জোড়া বিস্ফোরণ, ড্রোন থেকেই ছোঁড়া হয় বিস্ফোরক!]
ইতিমধ্যে, বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছে গিয়েছে এনআইএ-র উচ্চ পর্যায়ের তদন্তকারী দল। রয়েছে এনএসজির বম্ব স্কোয়াডও। বায়ুসেনার উপপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও। কীভাবে বায়ুসেনার সামরিক ঘাঁটির নিরাপত্তার বর্ম ভেদ ড্রোন ভিতরে প্রবেশ করল, এমনকী বিস্ফোরণ ঘটালো তা নিয়ে চিন্তায় সেনা প্রশাসনের একাংশ। কে বা কারা এই হামলার পিছনে জড়িত, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তার আগে পাঠানকোট, অবন্তীপোরা বায়ুসেনাঘাঁটি-সহ শ্রীনগরে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় UAPA এবং বিস্ফোরণ আইনে মামলা দায়ের করল জম্মু পুলিশ।