সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকাল থেকেই উত্তপ্ত জম্মু কাশ্মীরের সোপিয়ান ও কুলগাম জেলা। চলছে গুলির লড়াই। সোপিয়ানের জোইপোরা এলাকায় সেনা জঙ্গি সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই এক সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। এদের মধ্যে একজন মেজর পদমর্যাদার আধিকারিক। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে গুলির লড়াই শুরু হয়েছে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের গোপালপুরায়। দুজন জঙ্গিকে খতম করা গেছে বলে সেনা সূত্রে খবর। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২টি একে ৪৭ রাইফেল।
সোপিয়ানে গুলির লড়াই চলাকালিন মেজর সহ মোট চারজন সেনা জওয়ান আহত হন। পরে এক জওয়ানের মৃত্যু হয়। গোটা এলাকা জুড়ে জারি রয়েছে চিরুনি তল্লাশি। এদিকে, সেনার গুলিতে লস্কর-ই-তৈবার কাশ্মীর শাখার প্রধান আবু দুজানার মৃত্যু ঘিরে নতুন করে উত্তাপ ছড়ায় উপত্যকায়। হাজার খানেক বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে সেনার উদ্দেশে পাথর ছোড়ে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দক্ষিণ কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় কড়া নিরাপত্তা জারি করেছে প্রশাসন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে জম্মু-কাশ্মীরে একশোর বেশি জঙ্গি নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এখনও হিট-লিস্টে অনেক নাম রয়েছে। তাদের নিকেশ করার প্রক্রিয়া চলছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, লস্কর-ই-তৈবা, জয়েশ-ই-মহম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিন গোষ্ঠীর বহু জঙ্গির নামের তালিকা তৈরি করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। ইতিমধ্যে সেই তালিকায় থাকা দক্ষিণ কাশ্মীরে ৬ পুলিশকর্মী হত্যার অন্যতম অভিযুক্ত লস্কর কম্যান্ডার বশির লস্করি এবং হিজবুল নেতা সবজার আহমেদ ভাটকে খতম করা হয়েছে।
[ডোকলাম থেকে সেনা প্রত্যাহারে ভারতের উপর চাপ বাড়াল চিন]
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে ১০২ জন জঙ্গি খতম হয়েছে। বেশিরভাগ এনকাউন্টার দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা, শোপিয়ান ও অনন্তনাগ জেলায় হয়েছে। এছাড়া উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা ও বান্দিপোরাতেও বেশ কিছু জঙ্গি নিকেশ করা গিয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর।
[কাশ্মীরে ছ’জন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গির তালিকা তৈরি করেছে সেনাবাহিনী]