নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: দলকে আগেই জানিয়েছিলেন। এবার সরকারিভাবে তৃণমূলের সাংসদ পদ ছাড়লেন জহর সরকার। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করে তিনি ইস্তফাপত্র তুলে দেন। তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করলেন ধনকড়কে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর আরজি কর কাণ্ড এবং দুর্নীতির প্রতিবাদ করে সাংসদ পদ ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন জহর। ওই চিঠিতে রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে তিন বছর কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান জহর। তবে একই সঙ্গে দুর্নীতি, আরজি কর-সহ একাধিক ইস্যুতে দলের তথা নেত্রীর অবস্থান নিয়ে সরবও হন। প্রাক্তন ওই আমলা জানিয়ে দেন, আর জি কর কাণ্ডের পর বাংলার সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের যে অনাস্থা। এই বিপুল দীর্ঘ কর্মজীবনে অনাস্থা আগে দেখেননি তিনি।
[আরও পড়ুন: নমাজ-আজানের সময়ে বন্ধ পুজো! হিন্দুদের ‘অনুরোধ’ বাংলাদেশ সরকারের]
যদিও বিস্ফোরক চিঠির পরও জহর সরকারকে ইস্তফা থেকে বিরত করার চেষ্টা করেছিল দল। শোনা যায়, খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ফোন করেন। মমতার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই জহর জানান, সাধারণ মানুষকে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তাই তাঁর পক্ষে আর সিদ্ধান্ত বদল সম্ভব নয়। সেদিনই তিনি জানিয়ে দেন, দিল্লিতে গিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে ইস্তফাপত্র দিয়ে দেবেন। সেই মতো বৃহস্পতিবার নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিলেন জহর।
[আরও পড়ুন: ভোগান্তি বাড়ছেই, জট খুলতে আবারও জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকল নবান্ন, থাকবেন মমতাও]
২০২১ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও জহর সরকারকে রাজ্যসভায় পাঠায় তৃণমূল। কিন্তু গত তিন বছরে একাধিক বার দলের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় দুর্নীতির অভিযোগে যখন গ্রেপ্তার হলেন, তখনও প্রতিবাদ করেন জহর। শেষমেশ আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূলের সাংসদপদ ছাড়লেন জহর। একই সঙ্গে রাজনীতির ময়দান থেকেই বিদায় নিচ্ছেন তিনি।