সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানার হার থেকে শিক্ষা! ঝাড়খণ্ডের আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে অনেক নমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে কংগ্রেস। নিজেদের দাবি থেকে খানিকটা পিছিয়ে এসে ছোট দলগুলিকে জায়গা করে দিচ্ছে হাত শিবির। তবে তাতেও সন্তুষ্ট নয় লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডি। তবে জোটের অন্দরে কোনও বিবাদ নেই বলেই দাবি জেএমএম এবং কংগ্রেস নেতৃত্বের।
২০১৯ সালের মতোই জেএমএমের নেতৃত্বে ঝাড়খণ্ডে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। আগেরবার জেএমএম ৪৩, কংগ্রেস ৩১ এবং আরজেডি ৭ আসনে লড়েছিল। এবারও তেমনই আসনরফার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে বাম দলগুলিকে কোনওভাবে জোটে জায়গা দেওয়া যায় কিনা, সেই চেষ্টাও করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এ বছর জেএমএম এবং কংগ্রেস মিলিয়ে ৮১টির মধ্যে ৭০টি আসনে লড়বে। জেএমএম লড়বে ৪১ আসনে এবং কংগ্রেস লড়তে পারে ২৯ আসনে। বাকি ১১টি আসন ছাড়া হবে জোটসঙ্গীদের জন্য। এর মধ্যে লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডির জন্য ছাড়া হতে পারে ৫-৬টি আসনে। ৪-৫টি আসন যেতে পারে সিপিআইএমএল-লিবারেশনের শিবিরে।
কংগ্রেস আগেরবার লড়েছিল ৩১ আসনে। এবার তাঁরা অন্তত ৩৩ আসনে লড়াই করার দাবিতে অনড় ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছোট সঙ্গীদের জন্য আসন ছাড়ার জন্য দাবির থেকে অনেকটাই নামতে হল হাত শিবিরকে। তাতেও অবশ্য অখুশি আরজেডি। তারাও অন্তত ১০ আসনের দাবিতে অনড়। সেকারণেই চূড়ান্ত ঘোষণা এখনও বাকি।
বিজেপি ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ডের আসনরফার সূত্র ঘোষণা করে ফেলেছে। ৮১ আসনের মধ্যে বিজেপি প্রার্থী দেবে ৬৮টিতে। ১০টি আসন ছাড়া হচ্ছে জোটসঙ্গী অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অর্থাৎ আজসুর জন্য। বিহার লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে বিহারের দুই জোটসঙ্গী জেডিইউ এবং এলজেপি রামবিলাসকেও জায়গা দিয়েছে গেরুয়া শিবির। নীতীশ কুমারের দল লড়বে দুই আসনে। একটি আসনে লড়বে চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি (রামবিলাস)।