সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু–কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সাম্বা (Samba) জেলায় রবিবার একটি গোপন সুড়ঙ্গের খোঁজ পেল ভারতীয় সেনা। নাগরোটা সংঘর্ষে খতম হওয়া জইশ জঙ্গিরা এই সুড়ঙ্গ দিয়েই ভারতে প্রবেশ করেছে। এমনটাই মনে করছেন সেনা আধিকারিকরা। এর ফলে এই হামলার সঙ্গে পাক যোগ আরও স্পষ্ট হল। আপাতত সুড়ঙ্গটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফের যাতে জঙ্গিরা এই সুড়ঙ্গ ব্যবহার না করতে পারে, সেজন্য বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাও।
জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর তল্লাশির সময়ই ওই সুড়ঙ্গটি নজরে পড়ে জওয়ানদের। দেখা যায়, সুড়ঙ্গটি ৫ ফুট x ৫ ফুট চওড়া। ভারতীয় সীমানায় অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিটার দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। সেনা আধিকারিকরা মনে করছেন, এটি ব্যবহার করেই পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ভারতে (India) প্রবেশ করেছে জইশ জঙ্গিরা। তারপর স্থানীয় কারোর সহায়তায় হাইওয়ে পর্যন্ত পৌঁছেছে। এর ফলে এই হামলার সঙ্গে পাক যোগ যে স্পষ্ট তাও একবার প্রমাণিত হল।
[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় তিনবার সীমান্তরেখার কাছে দেখা গেল পাক ড্রোন! শুরু যৌথবাহিনীর তল্লাশি]
শনিবার নাগরোটা এনকাউন্টারে (Nagrota Encounter) খতম হওয়া জেহাদির পাক-যোগ প্রমাণ হতেই পাকিস্তান হাই কমিশনের শীর্ষ কর্তাকে সমন পাঠিয়েছিল ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। ভারতের তরফ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়াও জানানো হয়। পাশাপাশি জেহাদি গোষ্ঠীকে মদত দেওয়া থেকে পাকিস্তানকে বিরত থাকার বিষয়ও সতর্ক করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনার তৎপরতায় নাগরোটায় ভেস্তে যায় জঙ্গি হামলার ছক। গুলির লড়ইয়ে খতম হয় চার জইশ সদস্য। উদ্ধার হয় বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র। উদ্ধার হওয়া অস্ত্র সম্ভার থেকে পাক-যোগ স্পষ্ট হয়ে যায়।
জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন ও GPS ঘেঁটে মেলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এছাড়া কাশ্মীর পুলিশ পাকিস্তানে তৈরি একটি ডিজিটাল মোবাইল রেডিও উদ্ধার করে। ওই ডিজিটাল মোবাইল রেডিওর কিছু টেক্সট বার্তায় জানতে চাওয়া হয়, ওই চারজন সুরক্ষিতভাবে পৌঁছে গিয়েছে কিনা, কতদূর এসেছে, সমস্ত অস্ত্র সুরক্ষিত হয়েছে কিনা। এরপরই তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন পাকিস্তানি হ্যান্ডেলাররা ওই বার্তাগুলি পাঠিয়েছিল। পাকিস্তান থেকে সাম্বা সেক্টর দিয়ে চার পাক জঙ্গি যে ভারতে ঢোকে, সেই প্রমাণও মেলে। আর এবার এই সুড়ঙ্গের হদিশ মেলায় তা আরও স্পষ্ট হল।