মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর কাশ্মীরে প্রথমবার শুরু হল নির্বাচন। জম্মু ও কাশ্মীর ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের (District Development Council) আট দফার মধ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে শনিবার সকাল ৭টা থেকে। চলবে দুপুর দু’টো পর্যন্ত। শেষ এক ঘণ্টায় ভোট দিতে পারবেন করোনা আক্রান্তরা। আট দফায় জম্মু ও কাশ্মীরের মোট ২৮০টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হবে ১৯ ডিসেম্বর। ফলপ্রকাশ ২২ ডিসেম্বর। আট দফার মধ্যে এই পর্বে ডিডিসির মোট ৪৩ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ২৫টি কাশ্মীরে এবং ১৮টি জম্মুতে। মোট ৭ লক্ষ বৈধ ভোটার এই পর্বে ভোট দিতে পারবেন।
৩৭০ ধারা বাতিল করার পর এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়েছে। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরেছে উপত্যকা। তবে, জম্মু ও কাশ্মীর ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের নির্বাচন থেকে সন্ত্রাসের আতঙ্ক এখনও পুরোপুরি দূর হয়নি। বিশেষ মর্যাদা বাতিল হওয়ার পর এই প্রথম কোনও নির্বাচন হচ্ছে কাশ্মীরে। স্বাভাবিকভাবেই উপত্যকা তথা জম্মুতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কায় মোতায়েন হয়েছে অতিরিক্ত ১৪৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। পাক সীমান্ত নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। কাশ্মীরের অন্দরেও বাড়ানো হয়েছে নাকা তল্লাশি। সব মিলিয়ে নিরাপত্তার কোনওরকম খামতি রাখতে চায় না প্রশাসন। কারণ, এই নির্বাচনের দিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি কী, কাশ্মীরবাসী কী চাইছে, সবটাই স্পষ্ট হবে ভোটের পর।
[আরও পড়ুন: ‘এ তো সবে শুরু, অহংকারের পরাজয় হবে’, কৃষক বিক্ষোভের সমর্থনে সুর চড়ালেন রাহুল]
এই ডিডিসি (DDC) নির্বাচনে মূল লড়াই পিডিপি (PDP), ন্যাশনাল কনফারেন্স-সহ কাশ্মীরের বিভিন্ন ছোট রাজনৈতিক দলের জোট অর্থাৎ গুপকার জোটের (Gupkar Alliance) বিরুদ্ধে বিজেপির। কংগ্রেস (Congress) প্রথমে নিজেদের গুপকার জোটের অংশ হিসেবে ঘোষণা করলেও, জাতীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতার জন্য পরে পিছিয়ে এসেছে। গুপকার জোটের অন্যতম নেত্রী মেহেবুবা মুফতি দাবি করেছেন, ভোটের আগে তাঁদের প্রার্থীদের সঠিকভাবে প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। যদিও নির্বাচন কমিশন (EC) সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে। আসলে, এই নির্বাচনের উপর অনেকাংশে উপত্যকার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। কাশ্মীরের স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলির অস্তিত্ব নির্ভর করছে। ৩৭০ ধারা বাতিলে মানুষের সমর্থন আছে কিনা সেটাও স্পষ্ট হবে এই ভোটের পরই।