সোমনাথ রায়, শ্রীনগর: তাঁর মেয়ে মসনদে ফিরতে পারবেন কিনা,সেটার জন্য আল্লাহর উপরই ভরসা রাখতে চান তিনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যিনিই হোন কাশ্মীরের উন্নতি হোক, সেটাই চান গুলশন আরা। মেহবুবা মুফতির মা। অশীতিপর বৃদ্ধা এদিন ভোট দিলেন অনন্তনাগের এক বুথে। আর বুথফেরত সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, এবারের নির্বাচন থেকে উপত্যকার উন্নতিই তাঁর প্রথম আকাঙ্ক্ষা।
বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের ২৪টি আসনে ভোটগ্রহণ। এদিন যে কটি কেন্দ্রে ভোট রয়েছে, তার মধ্যে হেভিওয়েটদের শীর্ষে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিই। তবে তিনি বা তাঁর মেয়ে ইলতিজা মুফতি এখনও ভোট দেননি। কিন্তু ভোট দিতে এসেছিলেন মেহবুবার মা গুলশন আরা। জানালেন, ''আমি চাই, যিনিই মুখ্যমন্ত্রী হোন, পরিস্থিতির যেন উন্নতি হয়।'' এর পরই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁর মেয়ে কি ফের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। উত্তরে বৃদ্ধা জানিয়ে দেন, এব্য়াপারে আল্লাহর উপরেই ভরসা রাখতে চান তিনি। প্রসঙ্গত, মেহবুবাই ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত মসনদে ছিলেন তিনি। বিজেপি জোট ভেঙে বেরিয়ে গেলে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন মেহবুবা। ৩৭০ ধারার অবলুপ্তির পর কোনও অভিযোগ ছাড়াই আটক করা হয় তাঁকে। পরে অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে জম্মু ও কাশ্মীর জন নিরাপত্তা আইনের ধারা আনা হয়।
এদিকে কুলগামের তারিগাম গভর্নমেন্ট স্কুলে এদিন ভোট দিতে এসেছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের একমাত্র সিপিআই(এম) বিধায়ক মহম্মদ ইউসুফ তারিগামি। শেষবার জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে। ২০১৯ সালের আগস্টে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। এর পর থেকেই এটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়। অবশেষে সেখানে বিধানসভা নির্বাচন। এক দশক পরে ভোট দিতে পেরে মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ লক্ষ করা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ভোটের হার সর্বত্রই আশাব্যাঞ্জক। বুধবার ভাগ্য নির্ধারিত হবে ২১৯ জন প্রার্থীর। ৩২৭৬টি বুথে ভোট দিচ্ছেন ২৩ লক্ষ ভোটার।