সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লস্কর-ই-তইবার সক্রিয় সদস্য বছর ২০-র তরুণ জঙ্গি নেতা নাভেদ জাটকে গুলি করে হত্যার পর বৃহস্পতিবার সকালে আরও দুই জঙ্গিকে খতম করল ভারতীয় সেনা৷ এদিন সকাল থেকে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা সেক্টরে শুরু হয় গুলির লড়াই৷ টানা কয়েক ঘণ্টা সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই চলতে থাকে৷ পরে, সেনার ছোঁড়া গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় দুই লস্কর-ই-তইবার সদস্যের দেহ৷ ইতিমধ্যেই নিহত দুই জঙ্গির পরিচয় জানার কাজ শুরু করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ৷ ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে খবর৷ সংঘর্ষের ঘটনায় সেনার তরফে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি৷ তবে, এলাকায় আরও কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কি না তা জানতে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ৷
[হুইলচেয়ারে বসে বিমানবন্দরে ঢুকতে বাধা, হেনস্তার শিকার প্রতিবন্ধী তরুণী]
বুধবার সকালে এমনই একটি অভিযান চালিয়ে বড়সড় সাফল্য পায় ভারতীয় সেনা৷ উপত্যকার ত্রাস বছর ২০-র লস্কর-ই-তইবার জঙ্গি নেতা নাভেদ জাটকে খতম করেন জওয়ানরা৷ জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে সেনা-পুলিশের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল লস্কর-ই-তইবার সক্রিয় সদস্য ও উপত্যকার যুবকদের জেহাদে যোগ দেওয়ার অনুপ্রেরণা জোগানো নাভেদ৷ লস্কর প্রধান জাকিউর রহমান লাকভির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নাভেদ মুম্বই হামলায় যুক্ত আজমল কাসভের সঙ্গেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিল জঙ্গি শিবিরে৷ থাকত একই মাদ্রাসায়৷ ২০১২-য় সীমান্ত পেরিয়ে সে ভারতে ঢোকে৷ ঘটনাচক্রে সে বছরই কাসভকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়৷
[বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিখোঁজ তেলেঙ্গানার প্রথম রূপান্তরকামী প্রার্থী]
২০১৪-য় পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর নিজেই জেরার মুখে এ কথা স্বীকার করেছিল নাভেদ। আর অপেক্ষা ছিল সুযোগের৷ গত ৬ ফেব্রুয়ারি শ্রীনগরের মহারাজা হরি সিং হাসপাতালে পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়েছিল এই লস্কর জঙ্গি। তার মাত্র চার মাস পরেই ‘রাইজিং কাশ্মীর’ পত্রিকার সম্পাদক শুজাত বুখারিকে গুলি করে খুন করে চারজন জঙ্গির দল৷ নেতৃত্বে দেয় বছর ২০-র তরুণ জঙ্গি নেতা৷ তবে, এখানেই শেষ৷ বুধবার ভূস্বর্গের বদগামে সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে নাভেদ জাটকে গুলি করে হত্যা করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে পুলিশ-সেনা-রাজ্য প্রশাসন৷ বুধবার তরুণ জঙ্গি নেতাকে গুলি করে হত্যার পর আজ, ফের আরও দুই জঙ্গিকে নিকেশ করে নিজেদের শক্তি প্রমাণ করল সেনা৷
The post কাশ্মীরে সেনার গুলিতে ঝাঁঝরা আরও দুই লস্কর জঙ্গি appeared first on Sangbad Pratidin.