সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে সাড়ে চার বছর পর শাপমুক্তি ঘটাল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। লাল-হলুদ সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের হিসেব করা সম্ভব নয়। এতগুলো দিন যেভাবে দমবন্ধ করে দলকে তাঁরা সমর্থন করে গিয়েছে তার ফল পেলেন তাঁরা। এদিন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে শুনতে শুনতেই মাঠে এসেছিলেন। এদিনও হেরেই ফিরতে হবে এমনটাই তো মনে হচ্ছিল এতদিন ধরে। মনে হচ্ছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan) ন’নম্বর ডার্বিটাও জিতে যাবে।
কিন্তু সব মনে হওয়া যে এভাবে বদলে যাবে তা অতি বড় সমর্থকও বুঝতে পারেননি। তাই এই উৎসব, এই উচ্ছ্বাস, এই আবেগ তো স্বাভাবিক। ডার্বি আবহের অভিজ্ঞতা ছাড়াই এদিন খেলতে নেমেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। আর তাঁর হাত ধরেই জয়ের স্বাদ পেল ইস্টবেঙ্গল। তারপর যে উৎসব হবে সেটা তো স্বাভাবিক।
[আরও পড়ুন: East Bengal: ডার্বি জয়ের হ্যাংওভারের মধ্যেই সপরিবারে কলকাতায় হোসে অ্যান্তোনিও পার্দো লুকাস]
মাঠের উৎসব তাই পৌঁছে গিয়েছিল টিম হোটেলের অন্দরে। সেখানে কেক কাটলেন হরমনজ্যোত খাবরা, সৌভিক চক্রবর্তী, বোরহা হেরেরা, প্রভসুখন গিল, নাওরেম মহেশরা। ম্যাচের একমাত্র গোলদাতা এবং ডার্বির নতুন নায়ক নন্দকুমা-কে কেক খাওয়ালেন মন্দার। তাঁর মুখে কেক মাখিয়ে দিলেন হরমনজ্যোত সিং খাবরা।
ব্যাকগ্রাউন্ডে শোনা গেল ‘মাছের রাজা ইলিশ আর খেলাতে ফুটবল, সেই খেলাতে সেরা দল আমার ইস্টবেঙ্গল’। সঙ্গে চলল নন্দার নামে জয়ধ্বনী, ক্লাবের নামে জয়ধ্বনী। কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকেও দেখা গেল প্লেয়ারদের সঙ্গে উচ্ছ্বাসে ভাসতে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতে সময় লাগেনি।
দলের ডার্বি জয়ের পর নতুন স্প্যানিশ কোচ বলেন, “দল এবং সমর্থকদের জন্য সত্যিই আজ আমি খুশি। দল হিসেবে খেলেছি আমরা। মোহনবাগান অনেক বড় টিম। ওদের স্টার ফুটবলাররা আছে, তবে আমরা আজ ভালো ফুটবল খেলেছি। একেবারে দলীয় প্রচেষ্টায় এই জয় এসেছে বলব। আমাদের পরের টার্গেট ডুরান্ডে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়া। আমাদের পাঞ্জাব এফসিকে হারিয়েই পরের রাউন্ডে যেতে হবে।”
এর আগে বার্সেলোনা যুব দলের হয়ে কোচিং করেছিলেন। এবার কলকাতায় পা দিয়ে সমর্থকদের কাছে আকাশ কুসুম কিছু বলেননি। তিনি বরং মাটিতে পা রেখে বলেছিলেন, “আমরা খেলায় ৯০ মিনিট লড়ব। কেউ বলতে পারবে না আমরা খেলতে পারিনি। হারা জেতা আমার হাতে নেই, আমি বরং চেষ্টা করতে পারি ছেলেদের নিয়ে।” কথা রাখলেন তিনি।