গোবিন্দ রায়: এসএসসি মামলার তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে সিবিআই (CBI)আদালত ও বিচারকের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করলেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ”সিবিআই বিচারককে জানাবেন, তাঁর ভূমিকায় আমি খুশি নই। চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে আছেন, আর একজন অভিযুক্তকে পেশ করতে ১০ দিন সময় দেওয়া হচ্ছে!” তাঁর পরামর্শ, নিম্ন আদালতে দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করুক সিবিআই।
বৃহস্পতিবার এসএসসি মামলায় (SSC Scam) আদালতে অস্বস্তিতে পড়েন কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। জামিনের আবেদন করা হলে আজই কোনও নির্দেশ দিল না আদালত। নির্দেশ দিল না বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ। জানতে চাওয়া হয়, তদন্ত কোন পর্যায়ে আছে? কতদিন লাগতে পারে? আর এই তদন্তের জন্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে রাখার প্রয়োজন আছে কি? দুর্নীতিতে কী ভূমিকা রয়েছে সুবীরেশ ভট্টাচার্যর? তার বিরুদ্ধে আর কোন মামলা বিচারাধীন আছে কি?
[আরও পড়ুন: কুণাল ঘোষের তৎপরতায় কাটছে অন্ধকার, হলদিয়ার দুই গ্রামে বসছে বিদ্যুতের খুঁটি]
এরপর সুবীরেশ ভট্টাচার্যের হয়ে আইনজীবী জানান, ৮৮ দিন জেলে রয়েছেন, ৫ বার সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিয়েছেন, FIR এ তাঁর নাম ছিল না। সব রকম সহযোগিতা করেছেন তিনি। চার্জশিটও দাখিল হয়ে গেছে। এরপর সুবীরেশের সর্বোচ্চ সাজার মেয়াদ ৭ বছর, তদন্তে দেরি হচ্ছে এই অভিযোগ থাকলে সাড়ে তিন বছর পরে আসুন। সুবীরেশ ভট্টাচার্যর আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর। সুবীরেশ ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করেছেন? তা জানতে চায় কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। নবম-দশম দুর্নীতি মামলায় হেফাজতে রয়েছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। এবার গ্রুপ-সি মামলাতে Production Warrant জারি করেছে নিম্ন আদালত। ২২ ডিসেম্বর শুনানি। সেদিন তাকে নিম্ন আদালতে পেশ করবে জেল কর্তৃপক্ষ। জানাল সিবিআই।
[আরও পড়ুন: ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি নয়, নির্দেশ হাই কোর্টের]
এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই বিচারকের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, জেল থেকে আদালতের দূরত্ব ২ কিলোমিটারেরও কম। এত সময় কেন লাগবে? সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে তিহার জেল থেকে নিয়ে আসা হবে নাকি? প্রশ্ন বিচারপতির। বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা বিচারকের রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।