গোবিন্দ রায়: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ওএমআর শিট বিকৃতি মামলায় সিবিআইয়ের পাশাপাশি এবার ইডিকে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আজকে অর্থাৎ বুধবারের মধ্যেই ইডিকে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলায় পক্ষভুক্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মামলাকারীকেও।
ওএমআর শিট বিকৃত করে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) আদালতে জানিয়েছিল তাদের হিসেবে ১৮৩টি বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। আদালত জানতে চেয়েছিল এই ১৮৩ জনের মধ্যে কতজন চাকরি করছে? এদিন এসএসসি তরফে আদালতে জানানো হয়, ৮১ জন চাকরি করছে। বাকিদের নিয়োগপত্র দেওয়া হলেও কাজে যোগ দেয়নি। তবে বোর্ডের হিসেবে চাকরি করছে ৮০ জন। বাকি ১০০ জনেরও বেশি পদ শূন্য রয়েছে। এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের মেধার ভিত্তিতে অবিলম্বে ওই শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে।
[আরও পড়ুন: লালন শেখ মৃত্যুর তদন্ত CID’র হাতেই, এখনই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপে ‘না’ হাই কোর্টের]
প্রসঙ্গত, আগের শুনানিতে নবম-দশমে আরও ৪০ বেআইনি চাকরি (SSC Scam) সুপারিশের হদিশ মেলে। এই ৪০ জনের নামের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। OMR শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বেআইনি চাকরি সুপারিশের প্রমাণ দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণ, “এটা কোনও ভূতের কাজ নয়, কমিশনের অফিসে যাঁরা কাজ করেন তাঁরাই করেছেন।” কমিশন জানিয়েছে, ২০১৮-২০১৯ এর মধ্যে নষ্ট হয়েছে ওএমআর শিট । ফলে নবম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে কি না তা বুঝতে গাজিয়াবাদ হার্ড ডিস্ক ও সল্টলেক হার্ড ডিস্ক মিলিয়ে দেখতে হবে।
আদালতে দেখা যায়, গাজিয়াবাদের হার্ড ডিস্ক অনুযায়ী দশজন শূন্য পেয়েছেন। কমিশনের সার্ভারে তাদের নম্বর ৫৩ হয়েছে। গাজিয়াবাদ সার্ভারে বাকিরা যারা ১-২ পেয়েছে। কমিশনের তালিকায় তাঁরা ৫১ -৫২ নম্বর পেয়েছেন। ওয়েটিং লিস্টে ২০ জন চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে একইভাবে নম্বর ৯ থেকে বেড়ে ৪৯ হয়েছে। যা দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণ, “আমার পর্যবেক্ষণ এটা কোনও ভূতের কাজ নয়। এটা দেখে স্পষ্ট এই দুর্নীতি নিশ্চিতভাবেই যারা কমিশনের সঙ্গে যুক্ত তারাই করেছে।” এবার এই মামলায় ইডি তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত।