রাহুল রায়: সিবিআইয়ের (CBI) তদন্তে অখুশি হাই কোর্ট। মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েও তাঁদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। উল্লেখ করলেন খাঁচাবন্দি তোতাপাখির প্রসঙ্গও।
প্রাথমিক টেটের ওএমআর শিট নষ্টের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, রিপোর্টে লেখা আছে প্রায় ১২ লক্ষ ৯৫ হাজার ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছিল। পরীক্ষার্থী ছিলেন প্রায় ২০ লক্ষ। শুধু ১২ লক্ষ ৯৫ হাজার ওএমআর শিট কেন নষ্ট করা হল? এই প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি গঙ্গেপাধ্যায় বলেন, তদন্তের প্রয়োজন আছে। কিন্তু প্রশ্ন হল তদন্ত করবে কে? সিবিআইকে অনেকে খাঁচাবন্দি তোতাপাখি বলতে পারেন। কিন্তু দিনের শেষে কোনও না কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের দয়িত্ব দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দিতে প্রস্তুত রাজ্য, প্রয়োজনে বাতিল ‘ব্যতিক্রমী’ নিয়োগ, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী]
এদিন বিচারপতি প্রশ্ন, “আমি শুনলাম শেষ পাঁচদিন সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি সিবিআই, তাই তাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। শান্তিপ্রসাদ সিনহার ক্ষেত্রে এই বিচারকই প্রশ্ন তুলেছিলেন যে তার থেকে সিবিআই যদি তথ্য বের করতে না পারে তাহলে কি লাভ?” বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, “সিবিআইয়ের ভূমিকা কি, সবাই জানে। পরে এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানানো যেতে পারে। আমি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব যে তদন্তকারীদের নাম আদালতে দেওয়ার জন্য। সিবিআইয়ের অধিকর্তাকে বলব নাম দেওয়ার জন্য।”
সম্প্রতি রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্য পুলিশ, সিআইডির তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর ভরসা রাখতে পারেননি তিনি। সিট গঠনের প্রস্তাবও নাকচ করেছিলেন। এবার সেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের গতিপ্রকৃতির উপর ভরসা হারিয়েছিলেন খোদ সেই বিচারপতি। অন্তত তাঁর কথাবার্তায় সেই বিষয়টি উঠে এসেছিল আগেও।