কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: তাঁকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো মানুষ মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হলে তিনি কায়মনোবাক্যে এই মানুষটাকে ভোট দিতে সবার আগে লাইনে দাঁড়াবেন। সে নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমতো ‘মিনি সুনামি’ আছড়ে পড়েছে। রাজনৈতিক মহলে চর্চা-জল্পনা সবই চলছে। কিন্তু যাকে নিয়ে এত আলোচনা সেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিজে এ নিয়ে কোনও মন্তব্যে নারাজ।
এই মুহূর্তে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর জেলা মুর্শিদাবাদেই রয়েছেন। সেখানেই অধীরের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব সম্পর্কে বিচারপতিকে প্রশ্ন করে সংবাদমাধ্যম। কিন্তু সংক্ষেপে জানিয়ে দেন, ‘‘আমি শুনেছি কথাটা। এটা নিয়ে আমি কিছু বলব না। ওটা রাজনৈতিক মন্তব্য।’’ অর্থাৎ অধীরের মন্তব্য নিয়ে জল্পনা-কল্পনার কোনও অবকাশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাখতে চাইছেন না। তবে অবসরের পর তিনি রাজনীতিতে নাম লেখাতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের সবচেয়ে ‘জনপ্রিয়’ বিচারপতি। তাঁর বক্তব্য,”অবসরের পর রাজনীতির কথা ভাবতেই পারি। তবে সেটা দলীয় রাজনীতি নাও হতে পারে।”
[আরও পড়ুন: ‘১০০ মিটার ছক্কার মারো কীভাবে?’ রিঙ্কুর কাছে রহস্য জানতে চাইলেন জিতেশ, দেখুন ভাইরাল ভিডিও]
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় অধীরের মন্তব্য নিয়ে কিছু না বলতে চাইলেও তৃণমূল থেকে বিজেপি সকলেই একযোগে প্রদেশ সভাপতির উপর খাপ্পা। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ যেমন বলছেন, কংগ্রেস সিপিএমের সঙ্গে জোট করে শূন্য পেল। আইএসএফের সঙ্গে জোট করে শূন্য পেল। কত বড় দেউলিয়া হলে নিজেদের রাজনৈতিক শক্তির বাইরে থেকে লোককে এভাবে ধরে আনার চেষ্টা করে!” একই সঙ্গে কুণালের প্রশ্ন, এটা একজন কর্তব্যরত বিচারপতিকে প্ররোচিত করার চেষ্টা নয়তো?
[আরও পড়ুন: আইপিএলের নিলামের আগে কোথায় ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি? কী করছেন? দেখুন ভাইরাল ভিডিও]
বিচারপতিকে প্ররোচিত করার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলছেন, “অধীর চৌধুরী তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দেবতুল্য মানুষ। তিনি অধীরের প্ররোচনায় পা দেবেন না।”