অর্ণব আইচ: স্ত্রী এবং মেয়েকে তিনটি সংস্থার ডিরেক্টর হওয়ার নির্দেশ নিজেই দিয়েছিলেন। ইডির জেরায় বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। ব্যাঙ্কশাল আদালতে সেকথা জানিয়েছে ইডি। যদিও আদালত থেকে বেরনোর সময় ইডির দাবি অস্বীকার করেন তিনি।
গত মাসের শেষের দিকে রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ইডি সূত্রে খবর, বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যায়। কালো টাকা সাদা করতে মন্ত্রী একের পর এক ভুয়ো সংস্থা খুলেছিলেন বলেই দাবি তদন্তকারী সংস্থার। এই সমস্ত কোম্পানি সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে নিজেদের হেফাজতে রেখে জ্যোতিপ্রিয়কে জেরা করা হয়। ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন মন্ত্রী ঘরনি মণিদীপা এবং কন্যা প্রিয়দর্শিনীও। এই কোম্পানিগুলির সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই ইডির কাছে জানিয়েছিলেন দুজনে।
[আরও পড়ুন: কালীপুজোতেই জেলযাত্রা, ‘সব কথা পরে বলব’, জল্পনা জিইয়ে রাখলেন জ্যোতিপ্রিয়]
তবে পরে সেই দাবি খারিজ করেন। নিজের দাবি থেকে প্রায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যান তাঁরা। কোম্পানিগুলির আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে তাঁরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন বলেই দাবি করেন। ইডির দাবি, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রীও স্ত্রী-কন্যার দাবিতেই সিলমোহর দেন। জানান, তাঁর নির্দেশেই স্ত্রী-কন্যা কোম্পানিগুলির ডিরেক্টর হন। শুধু তাই নয়, একসময় তিনি তাঁর আপ্তসহায়ককে কোম্পানি ‘গুটিয়ে’ নিতেও বলেছিলেন। রবিবার আদালতে ইডি এমনই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তির কথা উল্লেখ করে। যদিও জেলযাত্রার পথে ইডির দাবি উড়িয়ে দেন খোদ জ্যোতিপ্রিয়ই।