shono
Advertisement

Kali Puja 2023: পুজোয় বাজে বাঁশি-ভোগে ইলিশ, ‘সবুজ কালী’র মাহাত্ম্য জানলে চমকে যাবেন

'সবুজ কালী' দেখতে ভিড় জমান অনেকেই।
Posted: 05:25 PM Nov 05, 2023Updated: 05:26 PM Nov 05, 2023

সুমন করাতি, হুগলি: কালো কিংবা নীল নয়। দেবীর গায়ের রং সবুজ। পুজো পদ্ধতি এবং ভোগেও রয়েছে হাজারও ব্যতিক্রমী ছোঁয়া। হুগলির হরিপাল থানার শ্রীপতিপুর পশ্চিম গ্রামের ৭০ বছরের প্রাচীন ‘সবুজ কালী’র পুজো প্রস্তুতি তুঙ্গে।

Advertisement

এই গ্রামের অধিকারী পরিবারের আরাধ্যা ‘সবুজ কালী’। ভূত চতুর্দশীর রাতে ১৪ প্রদীপ জ্বালিয়ে মানত করেন। স্থানীয়দের বিশ্বাস, ১৪ প্রদীপ জ্বালিয়ে মানত করলে ইচ্ছাপূরণ হয়। তাই ভিড় জমান বহু পুণ্যার্থী। দীপান্বিতা অমাবস্যায় বিশেষ ষোড়শ উপাচারে পুজো হয়। হোমও হয়। পুজোর রাতে টানা তিন ঘণ্টা বাঁশি বাজিয়ে শোনানো হয়। রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত একটানা বাজে বাঁশি। ওই দিন ভোগে আবশ্যক ইলিশ মাছ।

[আরও পড়ুন: প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে ২০ বছর পর নতুন করে সম্পর্ক, বেড়াতে গিয়ে ভয়ংকর পরিণতি মহিলার!]

হরিপালের দরিদ্র গোড়া বৈষ্ণব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বটকৃষ্ণ অধিকারী। তৎকালীন ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা পাশের পর চাকরি সূত্রে চলে যান ভিনরাজ্যে। তার পর ফিরে আসেন গ্রামে। চাষাবাদ শুরু করেন। পরিবারের চাপে পড়ে আঙুরবালা দেবীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। সংসারে ছিল না মন। মাঠে, ঘাটে, শ্মশানেই ঘুরে বেড়াতেন বটকৃষ্ণ।

কথিত আছে, একবার মাঠে গরু বাঁধার সময় এক সাদা বস্ত্র পরিহিত সন্ন্যাসীকে দেখতে পান। দীক্ষার দিনক্ষণ বলে দেন সন্ন্যাসী। শ্মশানে সাধনা করতে করতে সিদ্ধিলাভ করেন। স্বপ্নাদেশ পেয়ে কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু বৈষ্ণব বাড়িতে কালীপুজো নৈব নৈব চ! তা-ও সমস্ত বাধা অতিক্রম করে তিনি বাড়িতে কালীর ঘট স্থাপন করলেন। এর পর স্বপ্নাদেশ পেয়ে কালী মূর্তি স্থাপন। রটন্তী কালীপুজোর দিন ‘সবুজ কালী’র প্রতিষ্ঠ হয়। এই কালীপুজোয় বলি প্রথা নেই। তবে ‘সবুজ কালী’র প্রিয় জুঁই ফুল ছাড়া পুজো যেন অসম্পূর্ণ।

দেখুন ভিডিও:

[আরও পড়ুন: বঙ্গে বিনিয়োগে আগ্রহী চণ্ডীগড়ের শিল্পপতিরা! বাণিজ্য সম্মেলনে চাঁদের হাট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার