স্টাফ রিপোর্টার: ছুটি কাটিয়ে শনিবার থেকে সুপার কাপের (Kalinga Super Cup) অনুশীলন শুরু করে দিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। তবে বছরের প্রথম অনুশীলনেই অনুপস্থিত থাকলেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat)। আসেননি তিন স্প্যানিশ ফুটবলার সিভেরিও টোরো, সল ক্রেসপো এবং লুকাস পার্দোও। সূত্রের খবর, বিমান বিভ্রাটের জেরে নির্ধারিত সময়ে কলকাতা পৌঁছাতে পারেননি তাঁরা।
কুয়াদ্রাতের অনুপস্থিতিতে লাল-হলুদের অনুশীলন চলল সহকারী কোচ দিমাস দেলগাদোর নজরদারিতে। প্রথম দলের দুই তারকা নাওরেম মহেশ সিং এবং লালচুংনুঙ্গা জাতীয় শিবিরে। বিদেশিরাও সবাই আসেননি। এই অবস্থায় এদিন প্র্যাকটিসে দেখা গেল রিজার্ভ দলের তন্ময় দাস, জেসিন টিকেদের। সূত্রের খবর, সুপার কাপের দলেও থাকবেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: কোন মন্ত্রে এল প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে সাফল্য? অকপটে জানালেন বাংলার মুকেশ]
অনুশীলনে জোর দেওয়া হল পাসিংয়ের উপর। পরে ফুটবলারদের তিন ভাগ করে চলল সিচুয়েশন প্র্যাকটিস, যেখানে যথেষ্টই সাবলীল দেখাল ক্লেটন সিলভা (Cleiton Silva), হিজাজি মাহেরকে। দু’জনের নজরেই সুপার কাপ। ক্লেটন বলে গেলেন, “সুপার কাপে আমাদের ভালো ফলের সম্ভাবনা আছে। গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।” ভুবনেশ্বরে লালচুংনুঙ্গার অনুপস্থিতিতে লাল-হলুদের গড় রক্ষার বাড়তি দায়িত্ব থাকবে হিজাজির উপর। তিনি অবশ্য বলছেন, “কে আছে আর কে নেই- সেসব নিয়ে ভাবছি না। আমি নিজের কাজটা করে যেতে চাই।”
সুপার কাপের উত্তেজনা বাড়িয়েছে ১৯ জানুয়ারির ডার্বি। ডুরান্ড কাপ ফাইনালের বদলা ভুবনেশ্বরে নেওয়ার লক্ষ্যে ফুটছেন সমর্থকরা। তাঁদের আশ্বস্ত করে নন্দকুমারের বার্তা, “জানি সুপার কাপ নিয়ে সমর্থকরা আশাবাদী। আমরা ওদের আশা পূরণের লক্ষ্যেই নামব।” এদিকে রবিবার সকালে যুবভারতীতে অনুশীলন করে সুপার কাপ খেলতে ভুবনেশ্বর রওনা হল লাল-হলুদ বাহিনী।