নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দ্বিতীয় দফায় ২৩ আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি (BJP)। দু’দফা মিলিয়ে মোট ২১২ আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হল। অর্থাৎ ভোটের মাত্র ৪ সপ্তাহ আগেও পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে উঠতে পারল না গেরুয়া শিবির। কারণটা অবশ্যই দলের অন্দরের অসন্তোষ। যা কিনা প্রার্থী ঘোষণার পর আরও বাড়ছে বই কমছে না।
বিজেপি সূত্রের খবর, দু’দফায় যে ২১২ জনকে দলের টিকিট দেওয়া হয়েছে তাঁদের মধ্যে নাম নেই ১৯ জন বর্তমান বিধায়কের। প্রথম দফায় ১৮৯ জন বিধায়কের মধ্যে ১২ জন বিধায়কের টিকিট কাটা গিয়েছিল। দ্বিতীয় দফার ২৩ প্রার্থীর তালিকায় বাদ পড়েছেন ৭ জন বর্তমান বিধায়ক। আসলে কর্ণাটকের (Karnataka) বাসবরাজ বোম্বাই (Basavraj Bommai) সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বিস্তর। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া। সেকারণেই বিজেপি বর্তমান বিধায়কদের নাম কেটে নতুন মুখে ভরসা রাখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: নিচুতলায় সিপিএমের সঙ্গে মহাজোট চাইছে RSS, আলিমুদ্দিনে উদ্বেগ]
এ পর্যন্ত ২১২ জনের মধ্যে প্রায় ৬০ জন নতুন নেতাকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। সবটাই মূলত প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা এবং দুর্নীতির অভিযোগ এড়াতে। তাতে অবশ্য হিতে বিপরীত হওয়ার একটা আশঙ্কাও থাকছে। অনেক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা দলত্যাগ করা বা নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ভাবছেন। সদ্য হিমাচলের নির্বাচনে এই নির্দল কাঁটা ভুগিয়েছে বিজেপিকে। আবারও সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: বাংলার মিড ডে মিলে ১০০ কোটির গরমিল! কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্ট ওড়াল তৃণমূল]
সার্বিকভাবে বিজেপির দুই প্রার্থী তালিকায় প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে দলিত এবং ওবিসিদের (OBC)। এপর্যন্ত ৩৬ জন ওবিসি এবং ৩৪ জন দলিত নেতাকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। অথচ সে তুলনায় মহিলাদের সংখ্যাটা নগণ্য। ২১২ জনের তালিকায় মহিলার সংখ্যাটা মাত্র ১০। অর্থাৎ ৫ শতাংশেরও কম।