সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি হিন্দুদের দল, গেরুয়া শিবিরের ছোটখাটো নেতারা এমন প্রচার আকছার করে থাকেন। এমন অভিযোগ ওঠে অহরহ। এমনও অভিযোগ ওঠে, হিন্দুত্বের আবেগকে কাজে লাগিয়ে বছরের পর বছর নির্বাচন সাফল্য আসছে। তাই বিজেপিকে বধ করতে গেলে হিন্দুত্বের তাস ছিনিয়ে নেওয়াটা জরুরি, একথাও বলেন বিরোধীরা। এবার রাহুল গান্ধীর মতো আর এক বিরোধী নেতা বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন হিন্দুত্বের তাসেই। হাতিয়ার করলেন যোগীর রাজ্যে পুলিশের গুলিতে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী বিবেক তিওয়ারির মৃত্যুকে।
[গাড়ি না থামানোয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে গুলি, কাঠগড়ায় যোগীর রাজ্যের পুলিশ]
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিবেক তিওয়ারির মৃত্যুর সঙ্গে ধর্মকে জুড়ে দিয়ে একটি বিতর্কিত টুইট করলেন। টুইটে কেজরিওয়ালের প্রশ্ন, “প্রকাশ্যে দিনের আলোয় এক নিরীহ হিন্দুকে গুলি করল পুলিশ। ওনার হত্যাকারীদের পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন বিজেপি নেতারা। এর আমরা এর প্রতিবাদ করলেই আমাদের দোষ হয়?” এরপর সুর আরও চড়ান কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, বিজেপি হিন্দুদের কথা ভাবেই না। ওরা ক্ষমতায় আসার জন্য সব হিন্দুদের শেষ করে দিতে পারে। বিজেপি নেতারা হিন্দু মেয়েদের ধর্ষণ করে, হিন্দুদের খুন করে, তাহলে বিজেপি হিন্দুদের পক্ষে কী করে হতে পারে? উন্নাওতে কুলদীপ সিং সেনগার যাঁকে ধর্ষণ করেছিল সেও তো হিন্দুই ছিল। আপনারা চোখের পর্দা সরান।” বলা বাহুল্যে কেজরির এই মন্তব্যকে ভালভাবে নেয়নি কোনও মহলই।
[খারাপ আবহাওয়ার জের, হিমাচল প্রদেশে ফের নিখোঁজ পর্বতারোহী]
গত শুক্রবার রাতে গাড়ি না থামানোই লখনউতে এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে গুলি করে মারার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। আর তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা চলছে জাতীয় রাজনীতিতে। বিরোধীরা বলছে, বিজেপির রাজত্বে স্বেচ্ছাচার চলছে। কেউ বলছে, উত্তরপ্রদেশে এনকাউন্টার রাজ চলছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব বলেছেন, বিজেপির কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু প্রত্যাশাও করা যায় না। যদিও, এই ঘটনায় এভাবে ধর্মের তাস খেলবে কেজরিওয়াল তা প্রত্যাশা করেননি কেউই, অনেকেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের নিন্দা করেছেন।