সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্ক উসকে এবার উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের প্রশংসার পঞ্চমুখ কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তাঁর বক্তব্য, সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার আগ্রাসন রুখে দিয়েছেন কিম। এই কাজ কমিউনিস্ট চিনও পারেনি।
[সিপিএমের পোস্টারে কিমের ছবি, বিজেপির দপ্তরে মিসাইল হামলার হুমকি]
কোজিকোডে সিপিআই (এম)-এর জেলা কমিটির একটি বৈঠকে আমেরিকাকে তুলোধোনা করেন এই বর্ষীয়ান নেতা। সাম্রাজ্যবাদীদের রুখে দেওয়ার ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে কিমের কোরিয়া বলেই তাঁর মত। তাৎপর্য্যপূর্ণভাবে চিনকে একহাত নেন বিজয়ন। বেশ কিছুটা ক্ষোভ উগড়ে তিনি বলেন যে, পুঁজিবাদী শক্তিদের বিরুদ্ধে চিন মানুষের প্রত্যাশা মতো কাজ করছে না। দেশটির লড়াই করার ইচ্ছা থিতিয়ে গিয়েছে। আজ বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে অন্যতম চিন। তবে মতাদর্শ থেকে আজ কিছুটা হলেও সরে এসেছে বেজিং। আমেরিকার মতো সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির বিরুদ্ধে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে লড়াই করছে না তারা। কিন্তু আকারে ছোট হলেও সেই লড়াই করার সাহস দেখিয়েছে পিয়ংইয়ং। প্রবল মার্কিন চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি তারা। সর্বাধিনায়ক কিম জং উনের এই দৃঢ়তা প্রশংসার যোগ্য।
উল্লেখ্য, বিজয়নের মন্তব্যের একদিন আগেই ইদুক্কি জেলায় সিপিআইয়ের একটি সভায় কিমের পোস্টার দেখা যায়। তারপরই দানা বাঁধে বিতর্ক। তড়িঘড়ি সরিয়ে ফেলা হয় ওই পোস্টার। দলের তরফে জানানো হয় ভুল করে সভাস্থলে কিমের ছবি বসানো হয়। তবে বিজয়নের মন্তবের পর ফের শুরু হয়েছে জল্পনা। উত্তর কোরিয়াকে রাজনৈতিক সমর্থন দেওয়া নিয়ে জে কেরল ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে একটি ফাটল রয়েছ তা স্পষ্ট। সদ্য ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে তুঙ্গে পৌঁছয় যুদ্ধের তরজা। পারমাণবিক হামলার হুমকি পালটা হুমকিতে যুদ্ধের আশঙ্কা প্রবল করে তোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও একনায়ক কিম জং উন। বাম শাসিত কেরল ছাড়া এখনও পর্যন্ত কিমের সমর্থনে মুখ খোলেনি ভারতর কোনও রাজনৈতিক দল। শান্তিপূর্ণভাবেই এই বিবাদের সমাধান হওয়া উচিত এবং পারমাণবিক অস্ত্র উৎক্ষেপণ থেকে পিয়ংইয়ংকে বিরত থাকার আবেদন ই জানিয়ে এসেছে নয়াদিল্লি।
[পরমাণু বোমার বোতাম আমার টেবিলেও আছে, কিমকে পালটা ট্রাম্পের]
The post কিমের পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকাকে তুলোধোনা কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.