সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে। তা সত্বেও নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বাড়তি ক্লাস করানো হচ্ছে একাধিক স্কুলে। পড়ুয়া ও অভিভাবকদের থেকে এহেন অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসল কেরল (Kerala) সরকার। প্রশাসনের তরফে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, গরমের ছুটি চলাকালীন কোনওভাবেই স্কুল চালানো যাবে না। সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত স্কুলের ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ কার্যকরী হবে।
গত ১ এপ্রিল থেকে কেরলের সমস্ত স্কুলে গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি থাকবে। কিন্তু বেশ কিছু পড়ুয়া ও তাদের পরিবারের তরফে সরকারের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। গরমের ছুটি থাকলেও স্কুলগুলিতে পুরোদমে পঠনপাঠন চালাচ্ছেন শিক্ষকরা। প্রবল গরমের মধ্যেই স্কুলে আসতে বাধ্য হচ্ছে পড়ুয়ারা।
[আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ কতটা প্রভাব ফেলবে বাংলায়? কী জানাল হাওয়া অফিস?]
২০১৭ সালে একটি নির্দেশিকা জারি করে কেরল সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, গরমের ছুটি চলাকালীন কোনওভাবে স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন চালানো যাবে না। কিন্তু সম্প্রতি সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজ্যের একাধিক স্কুল। রাজ্যের নির্দেশ না মেনেই গরমের ছুটিতে চলছে পঠনপাঠন। তাই শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের এই বিষয়ে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে সরকারের তরফে।
স্কুলগুলিকে সতর্ক করে ফের নির্দেশিকা জারি করেছে কেরল সরকার। বলা হয়েছে, বন্ধ রাখতে হবে রাজ্যের সমস্ত স্কুল। এই বিষয়ে কড়া নজরদারি চালাবেন শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। যদি কোথাও নির্দেশের বিরোধিতা লক্ষ্য করা যায়, তাহলে সেই স্কুলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে সরকার।