shono
Advertisement

‘মেয়েদের নয়, পুরুষদের তালাবন্ধ করুন’, হস্টেলে বিধিনিষেধ নিয়ে মন্তব্য কেরল হাই কোর্টের

নতুন প্রজন্মের উপর আইন চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়, মন্তব্য আদালতের।
Posted: 01:26 PM Dec 08, 2022Updated: 03:29 PM Dec 08, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাত্রীদের নিরাপত্তায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠনের হস্টেলে হাজারও বিধিনিষেধ। কার্যত কারফিউ জারির সেই সরকারি আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে কোঝিকোড়ের মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ এমবিবিএস ছাত্রী হাই কোর্টে মামলা করেছিল। শুনানিতে কেরল হাই কোর্টের (Kerala High Court) পর্যবেক্ষণ, যদি ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই মহিলা হস্টেলে কারফিউ জারির উদ্দেশ্য হয়ে থাকে, তাহলে পুরুষদের তালাবদ্ধ করে রাখা উচিত।

Advertisement

সরকারি নির্দেশেই কেরলের (Kerala) উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মেয়েদের হস্টেলে একাধিক বিধিনিষেধ রয়েছে। যেমন, রাত সাড়ে ৯টার পর হোস্টেলে ছাত্রীদের ঢোকা এবং বেরোনো নিষিদ্ধ। এছাড়াও ছাত্রীদের স্টাডি হল ব্যবহারের সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কেরল সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, উল্লেখিত শর্তগুলি মানলে তবেই ছাত্রীরা হস্টেল পাবেন। এর বিরুদ্ধে আদালতে যায় পাঁচ এমবিবিএস ছাত্রী। আবেদনে দাবি করা হয়, ছাত্রীদের উপর নজর রাখতে চাইছে ‘নীতি পুলিশ’ সরকার। এই মামলার শুনানিতে ছাত্রীদের পক্ষেই মত দিয়েছে আদালত।

[আরও পড়ুন: গুজরাটে প্রথমবার ১৫০ পার বিজেপির, ভাঙল মোদির রেকর্ড]

বিচারপতি দেবন রামচন্দ্রন সাফ জানিয়েছেন, মহিলা হস্টেলে কারফিউ জারি করে উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। মহিলা শিক্ষার্থীদের অবিশ্বাস করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করে আদালত। বিচারপতি বলেন, “পুরুষদের তালাবদ্ধ করে রাখুন। কারণ তারাই ঝামেলা পাকায়। রাত ৮টার পর পুরুষদের জন্য কারফিউ জারি করুন। মহিলাদের বেরোতে দিন।” বিচারপতি আরও বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের আর কতদিন আটকে রাখব? তার মানে কেরল এখনও প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের আটকে রাখা দরকার। সমাজ যদি এটাই চায়, তবে তাই হোক। তবে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত ভিন্ন প্রজন্মের মানুষদের নেওয়া উচিত নয়। প্রবাদ আছে, প্রতিটি প্রজন্ম একটি নতুন দেশ। নতুন প্রজন্মের উপর আইন চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার নেই আমাদের।”

[আরও পড়ুন: গুজরাটের ভোটের ফল নিয়ে ব্যস্ত, সুকান্তর সঙ্গে বৈঠক বাতিল করলেন অমিত শাহ]

কেরল হাই কোর্টের বক্তব্য, বিধিনিষেধ কাজের কথা না। তারপরেও যদি আরোপ হয় তবে নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে আরোপ করতে হবে। পুরুষদের ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করার অর্থ কেবল মেয়েদের নিয়েই উদ্বেগ আমাদের। সরকারি আদেশনামা যে আদতে সমাজের প্রতিচ্ছবি সেকথাও বলেন বিচারপতি। বিচারপতি দেবন রামচন্দ্রন বলেন, “যদিও বাবা-মায়েরাই চান মেয়েরা বন্দি থাকুক, তাহলে সরকার আর কী করতে পারে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement