সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাত্রীদের নিরাপত্তায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠনের হস্টেলে হাজারও বিধিনিষেধ। কার্যত কারফিউ জারির সেই সরকারি আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে কোঝিকোড়ের মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ এমবিবিএস ছাত্রী হাই কোর্টে মামলা করেছিল। শুনানিতে কেরল হাই কোর্টের (Kerala High Court) পর্যবেক্ষণ, যদি ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই মহিলা হস্টেলে কারফিউ জারির উদ্দেশ্য হয়ে থাকে, তাহলে পুরুষদের তালাবদ্ধ করে রাখা উচিত।
সরকারি নির্দেশেই কেরলের (Kerala) উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মেয়েদের হস্টেলে একাধিক বিধিনিষেধ রয়েছে। যেমন, রাত সাড়ে ৯টার পর হোস্টেলে ছাত্রীদের ঢোকা এবং বেরোনো নিষিদ্ধ। এছাড়াও ছাত্রীদের স্টাডি হল ব্যবহারের সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কেরল সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, উল্লেখিত শর্তগুলি মানলে তবেই ছাত্রীরা হস্টেল পাবেন। এর বিরুদ্ধে আদালতে যায় পাঁচ এমবিবিএস ছাত্রী। আবেদনে দাবি করা হয়, ছাত্রীদের উপর নজর রাখতে চাইছে ‘নীতি পুলিশ’ সরকার। এই মামলার শুনানিতে ছাত্রীদের পক্ষেই মত দিয়েছে আদালত।
[আরও পড়ুন: গুজরাটে প্রথমবার ১৫০ পার বিজেপির, ভাঙল মোদির রেকর্ড]
[আরও পড়ুন: গুজরাটের ভোটের ফল নিয়ে ব্যস্ত, সুকান্তর সঙ্গে বৈঠক বাতিল করলেন অমিত শাহ]
কেরল হাই কোর্টের বক্তব্য, বিধিনিষেধ কাজের কথা না। তারপরেও যদি আরোপ হয় তবে নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে আরোপ করতে হবে। পুরুষদের ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করার অর্থ কেবল মেয়েদের নিয়েই উদ্বেগ আমাদের। সরকারি আদেশনামা যে আদতে সমাজের প্রতিচ্ছবি সেকথাও বলেন বিচারপতি। বিচারপতি দেবন রামচন্দ্রন বলেন, “যদিও বাবা-মায়েরাই চান মেয়েরা বন্দি থাকুক, তাহলে সরকার আর কী করতে পারে।”