সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহ দু’য়েক আগে তামিলনাড়ু উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় গাজা। তার প্রভাবে লন্ডভন্ড গোটা রাজ্য। প্রায় ৩.৪ লাখ বাড়ি ভেঙে গৃহহীন প্রায় ৩.৭ লক্ষ মানুষ। এছাড়া একাধিক জায়গায় গাছ উপড়ে বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিদ্যৎ সংযোগও ঠিকমতো নেই। এমন পরিস্থিতিতে তামিলনাড়ুকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে কেরল। বুধবার কেরল সরকার তামিলনাড়ুকে প্রায় ১০ কোটি টাকার সামগ্রী দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত তামিলনাড়ুর পাশে রয়েছে কেরল। মন্ত্রিসভা তামিলনাড়ুর জন্য ১০ কোটি টাকার জরুরিকালীন সাহায্য ঘোষণা করছে। খাবার, ওষুধ, জামাকাপড় নিয়ে মোট ১৪টি ট্রাক কেরল থেকে তামিলনাড়ু যাবে। এছাড়া যাবে ছ’টি মেডিক্যাল টিম, রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তরের ৭২ জন অফিসার।
[ হুইলচেয়ারে বসে বিমানবন্দরে ঢুকতে বাধা, হেনস্তার শিকার প্রতিবন্ধী তরুণী ]
গত ১৬ নভেম্বর ভোরে তামিলনাড়ু উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘গাজা’। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুদুকোট্টাই, তাঞ্জাভোর ও কাডালোর। প্রবল ঝড় এবং বৃষ্টির দাপটে তছনছ হয়ে যায় নাগাপট্টিনাম, তিরুভারুর এবং তাঞ্জাভোরের বেশ কিছু এলাকা৷ এখনও পর্যন্ত ৪৫ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে৷ ঘরছাড়া প্রায় ৩.৭ লক্ষ মানুষ। ঝড়ের দাপটে একাধিক জায়গায় ভেঙে পড়েছে বাড়ি৷ কোথাও কোথাও উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ৷ এখনও একাধিক জায়গায় ব্যাহত বিদ্যুৎ পরিষেবা৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় কুড্ডালোর, নাগাপট্টনম, পুডুকোট্টাই, তাঞ্জাভোর, রামনাথপুরম ও তিরুভারুর জেলায় ৪৭৭টি শিবির তৈরি করা হয়েছে। বিপর্যস্ত পরিস্থিতির কথা ভেবেই আপাতত বন্ধ রয়েছে থিরুভারুর, তাঞ্জাভোর, পুদুকোট্টাই, নাগাপট্টিনাম, ডিন্ডিগোলের স্কুলগুলি। পাশাপাশি আন্না বিশ্ববিদ্যালয় ও তার অধীনত্ব কলেজগুলির পরীক্ষাও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামীর ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য এক লক্ষ টাকা করে এবং একটু কম আহতদের ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আহতদের চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
[ বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিখোঁজ তেলেঙ্গানার প্রথম রূপান্তরকামী প্রার্থী ]