সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর মাত্র একটা ধাপ। আর একটা পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় পাশ করলেই এশিয়া কাপ (Asia Cup 2023) খেলার যোগ্যতা অর্জন করবেন কে এল রাহুল (KL Rahul) ও শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। চোটের জন্য অনেক দিন দলের বাইরে রয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) দুই তারকা ব্যাটার। তবে তাঁরা কতটা ফিট, সেটা দেখে নেওয়ার জন্য বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (National Cricket Academy) কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন রাহুল ও শ্রেয়স। এছাড়া রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)-বিরাট কোহলিদের (Virat Kohli) সঙ্গে দুই ক্রিকেটারকে জাতীয় দলের শিবিরেও দেখা যাবে। এমনটাই জানিয়ে দিলেন হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর দ্রাবিড়কে দলের দুই চোট পাওয়া ক্রিকেটারের আপডেট নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কেএল রাহুল ও শ্রেয়সের নাম মুখে না আনলেও তাঁর জবাব ছিল, “বেশ কয়েক জন ক্রিকেটার চোট সারিয়ে ফেলেছে। তাঁরা যদি প্রস্তুতি ম্যাচ ও শিবিরে ঠিকমতো পারফর্ম করতে পারে তাহলে সেই ক্রিকেটাররা দলে ফিরবে। কিছু ক্রিকেটার দলে ফিরবে। এশিয়া কাপে সুযোগ দেওয়া হবে তাদের। ২৩ অগস্ট থেকে আমাদের ক্যাম্প শুরু হবে। বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে এক সপ্তাহের ক্যাম্প হবে এশিয়া কাপের আগে। সেই সময় চোট থেকে ফেরা ক্রিকেটারদের দেখে নেওয়া হবে।”
[আরও পড়ুন: IND vs PAK: ‘বিরাট-রোহিতের ইগোর লড়াইয়ের জন্য ভারত আইসিসি ইভেন্টে চোকার্স!’ প্রাক্তন পাক অধিনায়কের বিস্ফোরক মন্তব্য]
আইপিএল চলার সময় কাফ মাশলে চোট পেয়েছিলেন কেএল রাহুল। অন্যদিকে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির চতুর্থ টেস্ট শুরু হওয়ার আগে পিঠে চোট পেয়েছিলেন শ্রেয়স। ফলে অনেক মাস মাঠের বাইরে ছিলেন দুই তারকা। শোনা যাচ্ছে এই দুই ক্রিকেটারের ম্যাচ ফিট হওয়ার বিষয় পরখ করে নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে অজিত আগারকরের জাতীয় নির্বাচক কমিটি। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২০ আগস্ট এশিয়া কাপের জন্য ১৮ জনের দল নির্বাচন করা হতে পারে।
এশিয়া কাপ শুরু ৩১ আগস্ট থেকে। চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে সবার নজর ২ সেপ্টেম্বরের দিকে। বাইশ গজের এই যুদ্ধ ‘মাদার অফ অল ব্যাটল’-এর দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দুনিয়া। চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে এই প্রথমবার হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। যার প্রস্তাব পাকিস্তান দিয়েছিল। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও নেপাল অংশ নেবে এশিয়া কাপে। যুগ্মভাবে এশিয়ার সেরা হওয়ার লড়াই আয়োজন করবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা ও এশিয়া কাপের মূল আয়োজক পাকিস্তান। পাকিস্তানে হবে চারটি ম্যাচ ও দ্বীপরাষ্ট্রে হবে ন’টি ম্যাচ। গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচের পর খেলা গড়াবে সুপার ফোরে। সেখান থেকে ফাইনালে দুই দল।