নিরুফা খাতুন: অবশেষে কাটল জট। পুরসভার বিকল্প প্রস্তাব মেনে মহম্মদ আলি পার্কে হবে পুজোর মণ্ডপ। বিপজ্জনক জলাধারের পরিবর্তে পার্কের ফাঁকা অংশে মণ্ডপ তৈরির প্রস্তাব দিল কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ দপ্তর। মঙ্গলবার জল সরবরাহ দপ্তরের ডিজি মৈনাক মুখোপাধ্যায়, বরো চেয়ারপার্সন রেহেনা খাতুন, পুজো কমিটি যৌথভাবে মহম্মদ আলি পার্ক পরিদর্শনের পর এই প্রস্তাব দেওয়া হয়।
মহম্মদ আলি পার্কে (Muhammad Ali Park) রয়েছে পুরসভার শতাব্দী প্রাচীন ভুগর্ভস্থ জলাধার। এই জলাধারের বর্তমান অবস্থা বেশ শোচনীয়। সেই বিপজ্জনক জলাধারের উপরই পুজোর মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু করেছিল পুজো কমিটি। বিষয়টি নজরে পড়তে মণ্ডপ তৈরির কাজ বন্ধ করে দেয় জল সরবরাহ দপ্তর। মহম্মদ আলি পার্কের পুজোকে কাজ বন্ধের নোটিসও ধরায় কলকাতা পুরসভা। অথচ হাতে দেড় মাসও সময় নেই। ফলে পুজো (Durga Puja) ঘিরে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
[আরও পড়ুন: জেল কর্তৃপক্ষের আবেদনে সাড়া, পার্থ ও অর্পিতার ভারচুয়াল শুনানির আবেদন মঞ্জুর করল আদালত]
জটিলতা কাটাতে সোমবার পুজো কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে করেছিলেন কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ দপ্তরের ডিজি মৈনাক মুখোপাধ্যায়। আর আজ যৌথ পরিদর্শনের পর পুরসভার পক্ষ প্রস্তাব দেওয়া হয়, জলাধারের উপর তৈরি মণ্ডপ ভাঙতে হবে। তার বদলে পার্কের ফাঁকা জমিতে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল করা যাবে। এমনভাবে মণ্ডপ তৈরি করতে হবে, যাতে দর্শকরা বাইরে থেকে প্রতিমা দর্শন করতে পারেন।
পুরসভার এই বিকল্প প্রস্তাবে রাজি হন পুজো উদ্যোক্তারা। পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অশোক ওঝা বলেন, বিপজ্জনক স্থানে পুজো মণ্ডপ করায় যাতে সাধারণ মানুষকে কোনওরকমের অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, তার জন্য তাঁরা পুরসভার সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। পুরসভার প্রস্তাব মেনেই পুজোর আয়োজন হবে। তবে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক হবে। তারপর পুরসভাকে জানানো হবে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের পর থেকেই তাদের এই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এবারও পুজোর জন্য বিকল্প প্রস্তাবেই রাজি হতে হচ্ছে তাঁদের।