shono
Advertisement

অকেজো ইলেকট্রনিক সরঞ্জামে পুরসভার কড়া নজর , ভাঙা মোবাইল ফেলতে শহরে ‘ই ওয়েস্ট বক্স’

কলকাতা পুরসভা আর লায়ন্স ক্লাব যৌথভাবে শুরু করছে ই-ওয়েস্ট ড্রপ বক্স।
Posted: 09:54 AM Feb 18, 2023Updated: 09:54 AM Feb 18, 2023

স্টাফ রিপোর্টার: ফেলে দেওয়া মোবাইল থেকে শরীরে জটিল রোগ। তা ঠেকাতে এবার কলকাতা পুরসভা এলাকায় ই-ওয়েস্ট ড্রপ বক্স। শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, অব‌্যবহৃত ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম যেখানে-সেখানে ফেলবেন না। তা থেকে ছড়াচ্ছে অসুখ। এবার থেকে অব‌্যবহৃত মোবাইল, কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ ফেলতে হবে পুরসভার নির্দিষ্ট ড্রপ বক্সে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ই ওয়েস্ট ড্রপ বক্স। কলকাতা পুরসভার বরো নম্বর ১, ৯ আর ১৬-তে আপাতত বসবে এই ই-ওয়েস্ট ড্রপ বক্স।
আপাতত কলকাতার বিটি রোড, বেলভেডিয়ার রোড আর ডায়মন্ড পার্ক এলাকায় এমন তিনটি ড্রপ বক্স বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা। কী সমস‌্যা ই-ওয়েস্টে?

Advertisement

মাটিতে মেশে না পরিত‌্যক্ত মোবাইল, ফেলে দেওয়া কম্পিউটার কি-বোর্ড, মনিটর। যত্রতত্র তা ফেললেই সমস‌্যা। জলে মিশে জলকে বিষাক্ত করে তোলে এই ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ। অনেকে আগুন জ্বালিয়ে দেন। মুশকিল তাতেও। অধিকাংশ ফেলে দেওয়া ইলেকট্রনিক সরঞ্জামে থাকে তামা। আগুনে পুড়ে তা থেকে ক্ষতিকর সূক্ষ্ম দূষণকণা তৈরি হয়। নিশ্বাসের মাধ‌্যমে দূষণকণা ঢুকে পড়ে ফুসফুসে। দেখা দেয় ক‌্যানসার, ফুসফুসের মারণ অসুখ। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কলকাতা পুরসভা আর লায়ন্স ক্লাব যৌথভাবে শুরু করছে ই-ওয়েস্ট ড্রপ বক্স।

[আরও পড়ুন: খৈনি খাওয়ার অভিযোগে মিহিরকে ‘অমানুষ’ কটাক্ষ চন্দ্রিমার, তীব্র আপত্তি অগ্নিমিত্রা পলের ]

মেয়রের কথায়, ‘‘এতদিন ধাপায় ফেলে দেওয়া হত। তা থেকে দূষণ তৈরি হচ্ছে। এবার তৈরি হচ্ছে লায়ন্স ক্লাবের সাহায্যে তৈরি হচ্ছে প্রসেসিং স্টিস্টেম। যার মাধ‌্যমে পুরনো মোবাইল, কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ রিসাইকেল করা হবে। তিন ফুট বাই তিন ফুট ই-ওয়েস্ট ড্রপ বক্সে ফেলা যাবে পরিত‌্যক্ত ল‌্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ডেস্কটপ।

ই-বর্জ্য বলতে বোঝায় পরিত্যক্ত বৈদ্যুতিন বা ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম। মূলত পরিত্যক্ত কম্পিউটার, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, ফ্যাক্স মেশিন, প্রিন্টার, মাইক্রোওয়েভ, ওয়াশিং মেশিন, এ সব থেকেই তৈরি হচ্ছে এই ই-বর্জ্য। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ই-বর্জ্যের সংস্পর্শে লাগাতার থাকলে স্নায়ু, মস্তিষ্ক, ফুসফুস, যকৃৎ-সহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি হয়। এক নম্বর বরোর চেয়ারম‌্যান তরুণ সাহা জানিয়েছেন, প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই বিষয়ে। বরোর এমন জায়গায় ড্রপ বক্স রাখা হবে যাতে সকল বাসিন্দা সেখানে এসে অব‌্যবহৃত মোবাইল, কম্পিউটার ফেলতে পারেন।

[আরও পড়ুন: ‘বাগদার ‘রঞ্জন’ গ্রেপ্তার হয়ে আর কিছুই হবে না’, আক্ষেপ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement