স্টাফ রিপোর্টার: চিনে কোভিডের (COVID-19) নতুন প্রজাতির বাড়বাড়ন্ত। আর তা নিয়ে সতর্ক কলকাতা। সুলে নদীর তীরে মাথাচাড়া দিয়েছে করোনার নতুন প্রজাতি বিএফ.৭। বিগত দু’বছর কোভিডের কারণে গঙ্গাসাগরে সাধুদের ভিড় ছিল তূলনামূলক কম। প্রশাসন আন্দাজ করছে এ’বছর প্রায় ৩০ লক্ষ পুণ্যার্থীর আগমন হবে। গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানের আগে কলকাতার বাবুঘাট অঞ্চলে বাসা গাড়েন নাগা সাধুরা। ভিন রাজ্য থেকে আসা এই সাধুদের জন্য কোভিড টেস্টের বন্দোবস্ত রাখছে কলকাতা পুরসভা (KMC)।
করোনা (Coronavirus) পরীক্ষার সঙ্গে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও থাকবে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) শনিবার জানিয়েছেন, গঙ্গাসাগর এলাকায় মাইকে ঘোষণা হবে। কোনওরকম উপসর্গ দেখা দিলে টেস্ট করে নিতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। গঙ্গাসাগরের মধ্যেই আগামী ১২ জানুয়ারি ইডেন গার্ডেন্সে ইন্ডিয়া-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ আছে। মেয়র জানিয়েছেন, পার্কিং নিয়ে কিছু বিধিনিষেধ থাকবে গঙ্গার পাড়ে। যাঁরা গাড়ি নিয়ে খেলা দেখতে আসবেন তাঁদের জন্য শহিদ মিনার, ইস্ট বেঙ্গল গ্রাউন্ড আর মহামেডান গ্রাউন্ডে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।
[আরও পড়ুন: বড়দিনে চন্দননগরের আলোয় সেজে উঠেছে পার্ক স্ট্রিট, সেলফি তোলার হিড়িক আমজনতার]
নাগা সাধুরা স্বপাক আহার করেন। তাঁদের প্রস্রাব, পায়খানার জন্য প্রিন্সেপ ঘাট, বাজে কদমতলা ঘাটে একাধিক বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করছে কলকাতা পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে শহরে আয়োজিত হতে চলেছে G-20 সম্মেলন। দেশ-বিদেশের অতিথি অভ্যাগতরা আসবেন শহরে। সেদিকে নজর রেখে কনজারভেন্সি ডিপার্টমেন্ট দুশো সাফাইকর্মী নিয়োগ করছে।
ফি দিন চারবার সাফাইকর্মীরা প্রিন্সেপ ঘাট, বাবুঘাট এলাকা পরিষ্কার করবেন। এ সময় গঙ্গায় বিশেষ ক্রুজ চালানো হবে। সেই ক্রুজে চড়ে গঙ্গার দু’পাড়ে তিলোত্তমা দর্শন করা যাবে। ইতিমধ্যেই ওড়িশার এক, গুজরাটে দু’জনের দেহে নয়া প্রজাতির ভাইরাস মিলেছে। মেলায় কোনও বিধিনিষেধ আরোপ হচ্ছে না। তবে মেয়র মাস্ক পড়ার আরজি জানান।