সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় রাজনীতিতে তিনি ‘নেতাজি’ নামেই পরিচিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মুলায়ম সিং যাদব (Mulayam Singh Yadav) তিনবার বসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের কুর্সিতে। সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। আজ থেমে গেল তাঁর জীবনদীপ। তাঁর প্রয়াণে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে এক অধ্যায়ের সমাপ্তি হল। এহেন মুলায়ম সিং যাদবের প্রেম-বিয়ে নিয়েও প্রচলিত রয়েছে অনেক গল্প। শোনা যায়, মায়ের দেখাশোনা করতে আসা সেবিকাকে মন দিয়েছিলেন তিনি।
দু’ বার বিয়ে করেন মুলায়ম। প্রথম স্ত্রী মালতীদেবী ছেলে অখিলেশের জন্ম দিতে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারও সাহায্য ছাড়া তাঁর নড়াচড়ার ক্ষমতা ছিল না। ২০০৩ সালে মালতীদেবীর মৃত্যু হয়। সেই বছরই সাধনা গুপ্তকে স্ত্রীর মর্যাদা দেন মুলায়ম সিং। ঘটনাচক্রে মুলায়মের মৃত্যুর মাস তিনেক আগেই সাধনাদেবী শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
[আরও পড়ুন: ‘আপনারা তখন অস্ত্র দেননি’, রুশ হাতিয়ার নিয়ে পশ্চিমকে কড়া বার্তা জয়শংকরের]
মুলায়ম সিং যাদবের থেকে প্রায় কুড়ি বছরের ছোট ছিলেন সাধনা গুপ্ত। তাঁরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। ১৯৮৬ সালে চন্দ্রপ্রকাশ গুপ্ত নামে একজনের সঙ্গে বিয়ে হয় সাধনার। বিয়ের এক বছরের মাথায় ছেলে প্রতীকের জন্ম হয়। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরও প্রাক্তন স্বামীর পদবীতেই পরিচিত ছিলেন সাধনা। তবে তাঁর ছেলে প্রতীক ব্যবহার করেন মুলায়ম সিং যাদবের পদবী।
শোনা যায়, মুলায়ম সিং যাদবের মা মূর্তিদেবী যখন অসুস্থ ছিলেন, সেই সময়ে তাঁর দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন সাধনা গুপ্ত। একবার মূর্তিদেবীকে ভুল ইঞ্জেকশন দিতে যাচ্ছিলেন নার্স। তা ধরে ফেলেন সাধনা। সেবারের মতো প্রাণে বেঁচে যান মূর্তিদেবী। এই ঘটনার পর থেকেই নাকি সাধনার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন মুলায়ম। সেই সময় তিনি মালতীদেবীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে ছিলেন। ২০০৩ সালে সাধনাদেবীকে স্ত্রীর মর্যাদা দেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তবে ২০০৭ সালের আগে মুলায়মের দ্বিতীয় স্ত্রীর বিষয়ে তেমন কিছু কেউই জানতেন না। অবশ্য দু’জনের আত্মার টান যেন রয়েই গিয়েছে। দীর্ঘ রোগভোগের পর গত জুলাই মাসে প্রয়াত হন সাধনাদেবী। স্ত্রীর প্রয়াণের মাস তিনেক বাদেই সোমবার মুলায়ম সিং যাদবের জীবনাবসান হয়।