সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উদয়পুরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের (Udaipur Violence) প্রধান দুই অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল খুনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। আর এই কাজে নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সাহায্য করেছিলেন দুই যুবক প্রহ্লাদ সিং ও শক্তি সিং। ঘটনার পরে এলাকায় কার্যত নায়কের সম্মান পাচ্ছেন তাঁরা।
কীভাবে সাহায্য করেছিলেন তাঁরা? পুলিশের কাছে খবর ছিল, অভিযুক্তরা রাজসমন্দ জেলার দিকে পালিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেবগড় থানার কনস্টেবল বাবু সিং তাঁর পরিচিত যুবক প্রহ্লাদকে জানান ২৬১১ নম্বরের বাইকে রয়েছে আততায়ীরা। পরে স্থানীয় জনতাকে সঙ্গে নিয়ে অভিযুক্তদের তাড়া করে তাদের পাকড়াও করেন প্রহ্লাদ-শক্তিই। তাঁরাই পুলিশের হাতে তুলে দেন ওই দু’জনকে।
[আরও পড়ুন: আচমকা কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের! তুঙ্গে BJP নেত্রীর দলবদলের জল্পনা]
এদিকে হনুমানগড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্থানীয় পাঁচজনকে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে জনতার মধ্যে আতঙ্কের সঞ্চার করার। রাজস্থানের উদয়পুরের বাসিন্দা পেশায় দরজি কানহাইয়া লাল (Kanhaiya Lal) সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) সমর্থন করে পোস্ট করেছিলেন। এরপর থেকেই তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
এই বিষয়ে পুলিশে অভিযোগও জানিয়েছিলেন তিনি। এরপর গত মঙ্গলবার তাঁর দোকানে ঢুকে তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার ভিডিও করে দুষ্কৃতীরা। অন্য একটি ভিডিওতে তারা নূপুর শর্মা ও নরেন্দ্র মোদিকে খুনের হুমকি দেয়। ওই দিনই দুই অভিযুক্ত রিয়াজ আখতার ও গোস মহম্মদকে গ্রেপ্তার করেছিল রাজস্থান পুলিশ। পরে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয় খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে।
উল্লেখ্য, উদয়পুরে কানহাইয়া লালের হত্যার পর একই ধরনের ঘটনা ঘটে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। আরএসএস (RSS) মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’ (Organizer Weekly) দাবি করে, বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) সমর্থন করে পোস্ট করায় মহারাষ্ট্রের এক ওষুধের দোকানের মালিকের মুণ্ডচ্ছেদ করা হয়।