আর মাত্র কয়েকটা দিন। পুজোর প্ল্যানিং সেরে ফেলেছেন সেলেবরা। কেউ শহরে, কেউ বাইরে। পুজো প্ল্যানিং নিয়ে তারকাদের সঙ্গে কথা বলেছেন সোমনাথ লাহা।
দেব (অভিনেতা)
পুজো কীভাবে কাটাব, এখনও কিছুই প্ল্যান করিনি। তবে এবারে পুজোয় যেহেতু আমার ছবি ‘হইচই আনলিমিটেড’ মুক্তি পাচ্ছে তাই পুজোয় এই ছবিটা নিয়েই এবার কাটাব। বলা যায় পুজোয় ‘হইচই’ নিয়েই থাকব। মায়ের কাছে প্রার্থনা করব ছবিটা যেন সকলের ভাল লাগে। আশা রাখি, এত পরিশ্রম করে যে ছবিটা বানিয়েছি, সেটা যেন পুজোয় এত ছবির ভিড়েও সফলতা পায়। তবে অষ্টমীর অঞ্জলি দেওয়ার পাশাপাশি ভোগটাও খাব। ওটা একেবারে মাস্ট (must)-এর তালিকায় থাকবে। পুজোয় কী খাব আর কী পোশাক পরব তা এখনও স্থির করিনি। কারণ আমার ছবি ‘হইচই আনলিমিটেড’ নিয়ে চারিদিকে এতরকমের হইচই হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ওই সমস্ত কিছুই এবারে ‘হইচই’ কেন্দ্রিকই হতে চলেছে।
রুক্মিণী মৈত্র (অভিনেত্রী)
আমি পুজোর সময় কোনও কাজ করি না। আর কখনও পুজোয় কাজ করবও না। এখনও জীবনে এটাই ইচ্ছে রয়েছে। পুজোয় আমি কোথাও সেভাবে বেরোই না। বাড়িতেই থাকি। বাড়িতে দিদা, দাদু, মা, আমার ভাইবোনরা আসবে। আমার দাদা দিল্লিতে থাকে। পুজোর সময় দাদা, বউদি আর আমার তিন বছরের ভাইঝিও আসবে। সবার সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেব, মজা করব, আমি একমাত্র অষ্টমীর দিন সেজেগুজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অঞ্জলিটা দেব। ওটা আমি প্রতিবছর দিই। আর অষ্টমীর ভোগটাও অবশ্যই খাব। সকলে বলে দুর্গাপুজো সর্বজনীন, কিন্তু আমি সেভাবে পুজোয় সাজতেও চাই না। কিন্তু আমার মায়ের অনুরোধে আমায় নতুন জামাকাপড় পরতেই হবে। আর মা সেটা আমাকে রোজ পরিয়েও দেবে। অষ্টমীর অঞ্জলিটা আমি শাড়ি পরেই দেব। বাকি দিনগুলো ক্যাজুয়াল পোশাক পরব। পুজো মানে আমার কাছে আমার ভালবাসায় মানুষগুলোর সঙ্গে সময় কাটানো, আর আমি ডায়েটিং করি না। পুজোয় চারদিন চারবেলা চাররকমের খাওয়া-দাওয়া করব। আমি যেহেতু সব ধরনের খাবারই খাই তাই বাঙালি, চাইনিজ, মোগলাই, থাই কোনওরকমের খাবার বাদ দেব না। এমনকী মিষ্টিও খাব। এখনও দিদার বাড়িতে রসগোল্লা এলে এক ভাঁড় থাকে পরিবারের জন্য আর এক ভাঁড় থাকে শুধু আমার জন্য। পুজোর সময়টায় আমি কাছের মানুষদের আঁকড়ে ধরে রাখি। এই সময়টা খুব আবেগের হয় আমার জন্য। বুঝতে পারি যে সময়টা খুব দ্রুত এগিয়ে চলেছে। আগে মায়ের অনুরোধে প্যান্ডেল হপিংয়ে বেরোতে হত তখন, এখন সেটা আর হয়ে ওঠে না। পরিবারের সবাই অবশ্য সেটা বুঝতে পারে। আমি যতটা পারি এ সময় ওদের সময় দেওয়ার চেষ্টা করি।
[পুজোর চারদিন কীভাবে কাটাবেন প্রিয়াঙ্কা-সোহিনী-পায়েল?]
ছোটবেলায় আমায় পুজো কাটত দিদার বাড়িতে। দিদার বিল্ডিংয়ের বাচ্চাদের সঙ্গে সকলে মিলে বসে প্ল্যান করতাম সন্ধেয় কী ডান্সিং নম্বরে পারফর্ম করব। বিল্ডিংয়ের নিচে অনুষ্ঠান হত। একদিন আমরা সব বাচ্চা মিলে বিল্ডিংয়ের সকলকে কলাপাতায় খাবার পরিবেশন করতাম। সেটা ভীষণ আনন্দের ছিল। ওইসময় আমার অনেক জামা হত। প্রায় দিনে ৩টে করে। ১৫টা জামা, ১৫টা জুতো, সঙ্গে ম্যাচিং জুয়েলারি। সেটা অন্যরকম একটা সময় ছিল, নিজেকে তখন সত্যিই হিরোইন মনে হত। খুব নস্ট্যালজিক লাগে ভাবলে এখনও।
[আমার দুগ্গা: পুজোর সময় মেলা দেখার অন্য অনুভূতি ছিল]
যিশু সেনগুপ্ত (অভিনেতা)
ছোটবেলা থেকেই আমার কাছে পুজো মানে আমার পাড়ার পুজো। সেখানেই বন্ধু-বান্ধব, কাকু-কাকিমাদের সঙ্গে পুজোর আনন্দে মেতে ওঠা। আজও সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি। এখনও পাড়ার কাকু-কাকিমাদের কাছে বকুনি খাই। পুজোর সময় আমি অভিনেতা নই। আমি তখন পাড়ার ছেলে। তবে এবারে মনটা একটু হলেও খারাপ। বেশ কিছু হিন্দি ছবির কাজ পড়ে যাওয়ার কারণে এবার সপ্তমী অবধি আমায় মুম্বই থাকতে হবে। অষ্টমীর দিন কলকাতায় ফিরব। আশা করছি এবারেও অঞ্জলিটা আমার পুরনো পাড়াতেই দেব। তবে কী পরব এখনও প্ল্যানিং করে উঠতে পারিনি। ধুতি-পাঞ্জাবি পরার ইচ্ছে রয়েছে। আর আমি এমনিতেও ডায়েটিং করি না। খেতে খুবই ভালবাসি। পুজোর সময় তাই বিরিয়ানি, কাবাব এগুলি তো খাবই। তবে এবার পুজোয় আমার ছবি ‘এক যে ছিল রাজা’-ও মুক্তি পাচ্ছে। ছবি দেখে দর্শকদের কী প্রতিক্রিয়া সেটাও জানার ইচ্ছে থাকবে।
The post রুক্মিণীর সঙ্গে নয়, এবারের পুজো এভাবেই কাটাবেন দেব appeared first on Sangbad Pratidin.