সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন। সোমবার রাত ১১টার পর ঘটনাস্থলে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। গোটা ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে মৃতদের পরিবারের জন্য অর্থসাহায্য ও চাকরির কথাও ঘোষণা করেন তিনি। একইসঙ্গে প্রশ্ন তোলেন রেলের ভূমিকা নিয়ে।
ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, দমকলের চার কর্মী গিরিশ দে, গৌরব বেজ, অনিরুদ্ধ জানা ও বিমান পুরকায়েত, এএসআই অমিত ভালওয়ার, মিস্টার মণ্ডল এবং একজন কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। আরও দু’জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। রাজ্য সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে অর্থসাহায্য এবং পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভুল রিপোর্ট! কোয়াড্রা মেডিক্যাল সার্ভিসকে ভৎর্সনা, টাকা ফেরতের নির্দেশ স্বাস্থ্য কমিশনের]
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ঘটনাস্থলে রেলের কেউ আসেননি। একইসঙ্গে নিখোঁজ হওয়া একজনের পরিবারের সদস্যের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই ঝলসে যাওয়া একাধিক মৃতদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হয়। অনেককেই চিহ্নিত করতে সমস্যা হচ্ছে বলে খবর।
এদিন সন্ধে ৬টার পর পূর্ব রেলের সদর দপ্তরের এই বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে। ১৩ তলার আগুন হাওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় গোটা ভবনটিই চলে যায় আগুনের গ্রাসে। এখানে রেলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের পাশাপাশি রয়েছে রিজার্ভেশনের মূল অফিসও। এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব রেলের সমস্ত বুকিং বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ সার্ভার রুম, লাইব্রেরিও। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কাজ শুরু হয়। গোটা বিল্ডিং অন্ধকারে ডুবে থাকায় কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। আগুনের লেলিহান শিখা আয়ত্তে আনা যায়নি এখনও। উলটে বিভিন্ন পকেটে নতুন করে আগুন জ্বলে উঠছে বলেই খবর। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।