সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'বাংলার এ সম্পদ সম্পর্কে যে ওয়াকিবহাল নয়, সে বাংলার কিছুই জানে না।' টেরাকোটার শিল্প নিয়ে ফেলুদার 'রবার্টসনের রুবি' গল্পে এ কথা লিখেছিলেন স্বয়ং সত্যজিৎ রায়। সত্যি তো তাই! টেরেকোটার ভাস্কর্য এক আলাদা রূপ বহন করে। তার আবার রয়েছে ঈর্ষণীয় ইতিহাস। নবমতম বর্ষে এই পোড়ামাটির অলঙ্কার দিয়েই সাজতে চলেছে উল্টোডাঙার গৌরীবেড়িয়া সর্বজনীন দুর্গোৎসবের পুজো। থিমের নাম, 'পোড়া মাটির টানে'।
মণ্ডপ।
মণ্ডপ থেকে প্রতিমা সব কিছুতেই থাকছে টেরাকোটার ছোঁয়া। শিল্পী মিলন দাসের সৃজনে সাজছে পুজো মণ্ডপ। ব্যবহার করা হচ্ছে টেরাকোটার হাতি থেকে গণেশ ও নানা জিনিস। প্রতি ছত্রে থাকবে হাতের কাজে নিদর্শন। সেই সঙ্গে ব্যবহার করা হবে প্রয়োজনীয় আলো। প্রতিমাতেও থাকবে বিশেষ শিল্পের ব্যবহার। মায়ের মুকুট থেকে গায়ের বস্ত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে পোড়া মাটির অংলঙ্কার। দেবীর চালাতেও থাকবে ঐতিহ্যশালী এই শিল্পের ছোঁয়া। শুধু মা দুর্গা নয় প্রত্যেক দেব-দেবী বাহন সবার গায়ে শোভা পাবে টেরাকোটা। দেবীমূর্তি তৈরি করছেন সনাতনরুদ্র পাল।
দেবীমূর্তি।
পুজোর মাত্র বাকি কয়েকদিন। মণ্ডপ থেকে প্রতিমা সবকিছুর কাজ শেষের দিকে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ব্যস্ততা চরমে। যেন তৈরি হচ্ছে আস্ত টেরাকোটার বাড়ি। যার প্রধান স্বয়ং মা দুর্গা।লালমোহনবাবুর শব্দ ধার করে বললে, "নাঃ- এ মশাই ভাবা যায় না।"