অর্ণব আইচ: প্রায় ২ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ফিয়ার্স লেনের বৃদ্ধ খুনের কিনারা করতে পারেননি তদন্তকারীরা। প্রাথমিকভাবে অতি পরিচিত কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে মনে করা হলেও তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাই খুনের রহস্যভেদ করতে ঘটনার দিন দুপুরের ওই এলাকার একটি নির্দিষ্ট সময়ের কল ডাম্প করছে পুলিশ। অর্থাৎ খতিয়ে দেখা হচ্ছে ওই সময়ে কোন কোন নম্বর ওই এলাকায় চালু ছিল এবং কতক্ষণ ছিল।
ফিয়ার্স লেনের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধের নাম আয়ুব আলি আজহা। এক পুত্র এবং এক কন্যাসন্তান রয়েছে তাঁর। বউবাজারের (Bowbazar) ফিয়ার্স লেনের বাড়িতে মেয়ে সায়েবার সঙ্গে থাকতেন বৃদ্ধ। তাঁর মেয়ে পার্ক স্ট্রিটে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। ছেলে জুলফিকর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ফিয়ার্স লেনেই একটি অন্য বাড়িতে থাকতেন। প্রতিদিনই পুত্রবধূ বিকেল চারটে নাগাদ শ্বশুরকে চা দিতে যেতেন। শুক্রবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চা দিতে গিয়েছিলেন পুত্রবধূ। সেই সময় তিনতলার ঘরে ঢুকে স্তম্ভিত হয়ে যান তিনি। দেখেন তাঁর শ্বশুর অচৈতন্য অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। কাছে গিয়ে বুঝতে পারেন ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে বউবাজার থানার পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। বৃদ্ধের গলায় মেলে আঘাতের চিহ্ন। ঘর থেকে পুলিশ একটি রক্তমাখা প্রেশার কুকার উদ্ধার করে।
[আরও পড়ুন: আসন বণ্টন নিয়ে প্রথমবার বৈঠকে বসছে বাম-কংগ্রেস, তিন জেলা নিয়ে দড়ি টানাটানি]
ঘটনার তদন্তের স্বার্থে শনিবার রাতে বৃদ্ধের বাড়িতে যান ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। গোটা বাড়ি ঘুরে দেখে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, অনুমান করা হচ্ছে আততায়ী মৃতের পরিচিত। তাই তাকে দেখে দরজা খুলে দিয়েছিলেন মৃত বৃদ্ধ। কিন্তু হদিশ মেলেনি তার। সেই কারণেই ঘটনার দিন দুপুর ২ টো থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত ওই এলাকার কল ডাম্প করা হচ্ছে। পুলিশের ধারণা, এইভাবে হয়তো অভিযুক্তের নাগাল পাওয়া সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে তদন্তের স্বার্থে কথা বলা হচ্ছে প্রতিবেশীদের সঙ্গে।