সুব্রত বিশ্বাস: কলকাতায় বসে অভিনব কায়দায় আমেরিকা (America), কানাডাবাসীর অ্যাকাউন্ট সাফ। কল সেন্টারের আড়ালে ঢাকুরিয়া এলাকায় চলত আর্থিক জালিয়াতি। নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার গভীর রাতে কল সেন্টারটিতে হানা দেয় কলকাতা পুলিশ। প্রতারণা চক্রের দুই চাঁইকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হয়েছে ২০টি সিপিইউ, প্রচুর মনিটর ও নথি।
কলকাতায় বসে বিদেশের অ্যাকাউন্ট সাফ নতুন ঘটনা নয়। একাধিক কল সেন্টারের আড়ালে এই কাজ চলার অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। কিন্তু এই দুই কীর্তিমানের কাণ্ড দেখে হতবাক পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইবে পুলিশ। তাদের জেরা করে চক্রের বাকিদের হদিশ পেতে চাইছে তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: অস্ত্র-অর্থ জোগাতে হিমশিম! যুদ্ধে ভুলে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসুক ইউক্রেন, চাইছে আমেরিকা]
পুলিশ সূত্রে খবর, জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইটের ক্রেতাদের নামের তালিকা বের করত প্রতারকরা। সেই ক্রেতাদের নম্বর ধরে ফোন করে জানতে চাওয়া হত তাঁরা আইফোন কিনেছেন কিনা। ফোনের ওপাড়ে থাকা ব্যক্তিরা অধিকাংশ সময়ই জানাতেন, কেনেননি। তখনই প্রতারকরা বলতেন, ক্যানশেলসন ফি বাবদ তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাবে সংস্থা। এভাবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খুঁটিনাটি জেনে হাতানো হল লক্ষ-লক্ষ টাকা। উল্লেখ্যযোগ্য, ই কমার্স সাইটের অন্দর থেকে যেভাবে কাস্টমারদের তথ্য প্রতারকদের কাছে ফাঁস করে দেওয়া হচ্ছে, তা অত্যন্ত চিন্তাজনক।
ভুয়ো কল সেন্টার (Call Centre) থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা বেহালার বাসিন্দা রাজদীপ গঙ্গোপাধ্যা. ও একবালপুরের বাসিন্দা অমিত সিং। তাদের জেরা করে চক্রের বাকিদের হদিশ পেতে চাইছে সাইবার থানার পুলিশ। পাশাপাশি, ই কমার্স সাইট থেকে কীভাবে ক্রেতাদেন তথ্য প্রতারকদের হাতে আসত, তাও জানার চেষ্টা চলছে।