অর্ণব আইচ: সিবিআই হেফাজতে থাকা টালা থানার অপসারিত ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের অ্য়াডিশনাল সিপি, ডিসি ইস্ট, এসিপি-সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিক। সোমবার দুপুর সার্ভে পার্ক থানা এলাকায় বহুতলে যান তাঁরা। অভিজিৎ মণ্ডল দায়িত্বে কোনও গাফিলতি করেননি বলেই দাবি শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকদের। দায়িত্ব পালনের পরেও কেন গ্রেপ্তার করা হল তাঁকে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলের স্ত্রী।
এদিন দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (চতুর্থ) ভি সলমন নিশা কুমার, ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ইস্ট ডিভিশন) আরিশ বিলাল, ডেপুটি কমিশনার (এসএসডি) বিদিশা কলিথা ওসির বাড়িতে যান। তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ওসির স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে বেরনোর পর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (চতুর্থ) বলেন, "অভিজিৎ মণ্ডলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে আমরা এসেছি। সঙ্গীতা মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। কলকাতা পুলিশ তাঁর সঙ্গে আছে। কলকাতা পুলিশ এই পরিস্থিতিতে সবরকম সহযোগিতা করবে।" টালা থানার ওসির বিরুদ্ধে দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগ খারিজ করে তিনি আরও বলেন, "টালা থানার ওসির কোনও দোষ নেই। এটা আমার ব্যক্তিগত মত। উনি স্পটে তাড়াতাড়ি পৌঁছেছেন। একটা স্পর্শকাতর অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। সেখানে চিকিৎসক-সহ যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের মত নিয়ে কাজ হয়েছে। এটাই ওঁর কাজ। উনি সেই কাজ ভালো করেই করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন বিষয় তাই এর বেশি আর কিছুই বলব না। টালা থানার ওসি নিজের সেরাটা দিয়েছেন আমি মনে করি। আমার বাহিনীর একজন সদস্য হিসেবে আমাদেরও খারাপ লাগছে।"
কেন তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই, সে বিষয়ে কিছুই বুঝতে পারছেন না অভিজিৎ মণ্ডলের স্ত্রী সঙ্গীতা। তিনি বলেন, "আমাকে সিবিআই থেকে ফোন করা হয়েছিল যে আমার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু কেন গ্রেপ্তার তা কিছু বলা হয়নি। বার বার সিবিআইয়ের কাছে গিয়েছেন। আমরাও দেখেছি উনি রাতদিন এক করে কাজ করেছেন। বাড়িতে আসতে পারেননি। উনি সিবিআইয়ের সঙ্গেও সহযোগিতা করেছেন। উনি সেরাটা দিয়েছেন। আমরাও চাই নির্যাতিতার বিচার হোক। আমার দুটো মেয়ে আছে। ওঁর শরীরটা ভালো নেই। উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। আপাতত তিনদিনের সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তাঁরা।