অর্ণব আইচ: কলকাতাকে যানজটমুক্ত বড়সড় উদ্যোগ। এবার পর্যাপ্ত সংখ্যক ‘আলোর লাঠি’ ট্রাফিক পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে লালবাজার। অন্তত পাঁচশোটি ‘এলইডি ব্যাটন’ কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক বছর আগে থেকেই কলকাতার ট্রাফিক গার্ডগুলিকে ‘লাইট ব্যাটন’ দেওয়া হয়। এতে লাল ও সবুজ আলো থাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হয় ট্রাফিক পুলিশের। এর মধ্যে কিছু ব্যাটন খারাপ হতে শুরু করেছে। তাই এবার আরও আধুনিক ‘আলোর লাঠি’ বা ‘এলইডি ব্যাটন’ কেনার প্রস্তুতি শুরু করেছে লালবাজার। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, এই ‘এলইডি ব্যাটন’গুলিতে আগের মতোই লাল ও সবুজ আলো থাকছে। এর সঙ্গে থাকছে সাদা আলোও। এই আলোর নিচের অংশ যাতে সহজে ধরা যায়, সেই ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। সুইচ এমন জায়গায় থাকছে যে, পুলিশকর্মীরা সহজেই আলোর রং পরিবর্তন করতে পারবেন।
[আরও পড়ুন: বিচারব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা]
এছাড়াও ওই ‘আলোর লাঠি’র মাথায় থাকছে জোরালো এলইডি টর্চ। আপৎকালীন অবস্থা বা অন্ধকারে ওই টর্চের আলোও কাজে লাগানো যাবে। পাঁচশোটি এই ধরনের আধুনিক ‘ব্যাটন’ কেনা হচ্ছে। দাম পড়ছে প্রায় ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। প্রত্যেকটি ট্রাফিক গার্ডে গড়ে ২০টি করে এই লাঠি সরবরাহ করা হবে। ট্রাফিক পুলিশের এক আধিকারিক জানান, অন্ধকারে এই লাইট ব্যাটনগুলির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। বহু এলাকায় রাতে রাস্তায় কাজ হয়। রাতে রাস্তায় সাদা রং দিয়ে জেব্রা ক্রসিং বা বিভিন্ন চিহ্ন তৈরি করে ট্রাফিকের বিশেষ শাখা। কাজগুলির সময় যাতে বেপরোয়া গাড়ি দুর্ঘটনা না ঘটায়, তার জন্য এই লাইট ব্যাটন দিয়ে সতর্ক করেন পুলিশকর্মীরা। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে ট্রাফিক সিগন্যাল থাকলেও ছোট মোড় বা রাস্তার সংযোগস্থলগুলিতে তা থাকে না।
এবার সেই ছোট রাস্তার সংযোগস্থল, যেখানে সিগন্যাল নেই, কিন্তু গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়লে যানজট হতে পারে, সেগুলির উপরও ট্রাফিক পুলিশ গুরুত্ব দিচ্ছে। কলকাতাকে যানজটমুক্ত করার চেষ্টায় সন্ধের পর ট্রাফিক পুলিশকর্মীরা হাতে এই নতুন ‘এলইডি ব্যাটন’ নিয়ে ছোট মোড়ে থাকবেন। কোনও গাড়ি বা বাইক অকারণে রাস্তায় দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে ওই হ্যান্ড সিগন্যাল বা ব্যাটন দেখিয়েই সেগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। রাতের কলকাতায় প্রতিনিয়ত নাকা চেকিং গাড়ি থামানো বা চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য ওই লাইট ব্যাটনগুলিকে কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।