অভিরূপ দাস: করোনার টিকাকরণের পর অসুস্থ হয়ে পড়া বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতালের নার্স (Nurse) পিংকি শূর এখন ভালই আছেন। তাঁর স্বামী জানান, রক্তচাপ স্বাভাবিক রয়েছে তাঁর। তবে হাঁপানির সমস্যা ছিল ওই নার্সের। তাই এখনও সামান্য শ্বাসকষ্ট রয়েছে। মাঝেমধ্যে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে তাঁকে। তবে স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, ওই নার্সের একাধিক ওষুধে অ্যালার্জি ছিল। নার্স কিংবা তাঁর স্বামী টিকা নেওয়ার আগে সেই তথ্য গোপন করেছিলেন। তাই এই বিপত্তি হয়েছে। যদি কারও অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তবে তা আগে জানানোরও আরজি স্বাস্থ্যদপ্তরের।
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে শনিবার করোনার টিকাকরণ (Corona vaccination) কর্মসূচি শুরু হয়। রাজ্যের ২০৭টি কেন্দ্রেও টিকাকরণ হয়। প্রথম দফায় চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা নেন। সেই তালিকাতেই ছিলেন বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতালের নার্স পিংকি শূর। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভরতি করা হয় তাঁকে। রবিবার নার্সের স্বামী জানান, সুস্থ রয়েছেন ওই নার্স। হাঁপানির সমস্যা ছিল ওই নার্সের। তাই এখনও সামান্য শ্বাসকষ্ট রয়েছে। মাঝেমধ্যে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে তাঁকে।
[আরও পড়ুন: নিয়ম ভেঙে করোনা টিকা নিয়েছেন বিধায়করা! তৃণমূলকে ‘ভ্যাকসিন চোর’ কটাক্ষ কৈলাসের]
শনিবারই রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, ‘‘ছোট থেকেই তিনি হাঁপানিতে ভোগেন। সম্ভবত কোনও ওষুধের থেকেই তাঁর এই সমস্যা হয়েছে। ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নয়।’’ রবিবার সেই যুক্তিতেই সিলমোহর দিল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, ওই নার্সের একাধিক ওষুধে অ্যালার্জি ছিল। নার্স কিংবা তাঁর স্বামী টিকা নেওয়ার আগে সেই তথ্য গোপন করেছিলেন। তাই এই বিপত্তি হয়েছে। যদি কারও অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তবে তা আগে জানানোরও আরজি স্বাস্থ্যদপ্তরের। এদিকে, বাগনানের আশাকর্মী সাহানারা খাতুনও টিকা নিয়ে বাড়ি ফিরে সামান্য অসুস্থ বোধ করেন। এখন তিনিও সুস্থ রয়েছেন।