ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দীর্ঘ আইনি লড়াই! অবশেষে ঘটেছে শাপমুক্তি। শুক্রবার সন্ধ্যায় মালদহ সীমান্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশে আটকে থাকে সোনলি বিবি এবং তাঁর নাবালক সন্তান। আজ শনিবার বীরভূমে নিজের বাড়িতে ফেরার কথা আছে তাঁদের। জানা গিয়েছে, সোনালি বিবির সঙ্গে দেখা করতে পারেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই দু'জন অর্থাৎ সোনালি বিবি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ হতে পারে বলে খবর।
উল্লেখ্য, জুলাই মাসে দিল্লি থেকে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে সোনালি বিবি-সহ ছ’জনকে পাকড়াও করেছিল পুলিশ। এদেশের নাগরিকত্বের বৈধ সব কাগজপত্র সঙ্গে থাকলেও তাঁদের ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ বলে দাগিয়ে মোট ছ’জনকে বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করা হয়েছিল। সোনালির নাবালক ছেলে-সহ তাঁদের গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশ পুলিশ। তারপর থেকে সেই দেশের জেলেই বন্দি ছিলেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্ট ও হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। উচ্চ ও শীর্ষ আদালত সোনালিদের ফিরেয়ে আনার নির্দেশ দেয়। তারপরও গড়িমসি করছিল কেন্দ্রীয় সরকার এই অভিযোগ ওঠে।
যদিও এই ইস্যুতে প্রথমদিন থেকে সরব হয় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী এই ইস্যুতে একাধিকবার সরব হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজমাধ্যমে স্পষ্ট লিখেছিলেন, 'বর্জনের রাজনীতি বাংলার মানুষ সহ্য করবে না। ২০২৬ সালের নির্বাচনে জনতা জবাব দেবে।' একহাত নেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেও। অবশেষে জয় এসেছে। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ভারতে ফিরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সোনালি বিবি।
তিনি বলেন, ''বাংলাদেশে খুব কষ্টে ছিলাম। ভারতে ফিরে আসতে পেরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ। ৮ মাসের ওপরে বাংলাদেশের ছিলাম। দিল্লি পুলিশ আমাদের ওপর অমানবিক অত্যাচার করেছিল। আমরা অনেক অনুরোধ করেছিলাম। তারপরও আমাদেরকে বিএসএফকে দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হল।''
