ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে SIR। তা নিয়ে হাজার প্রশ্নের মাঝেই এদিন NRC আতঙ্কে পানিহাটির এক প্রৌঢ়ের আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পরিবারের। এই মৃত্যুর দায় অমিত শাহ ও মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের বলেই তোপ দাগলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শাহ ও জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে এফআইআর হওয়া উচিত বলেই দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ।
মঙ্গলবার এসআইআর ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেখান থেকেই বিজেপি ও কমিশনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তোলেন পানিহাটির যুবকের মৃত্যু প্রসঙ্গও। বলেন, "আজ একজন মারা গেছেন পানিহাটিতে। বিজেপির কেউ খবর নিয়েছে? তৃণমূল ওদের পাশে আছে। আমি কথা বলেছি পরিবারের সঙ্গে। যে কোনওদিন দরজায় ছিটকিনি দিত না, গতকাল দিয়েছে। আজ মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে, সঙ্গে সুসাইড নোট। তাতে লেখা, মৃত্যুর জন্য SIR-NRC দায়ী। আর কত রক্ত চান জ্ঞানেশ কুমার, অমিত শাহ? এত ঔদ্ধত্য অহংকার?" এরপরই অভিষেক বলেন, "আজ যে প্রদীপ কর মারা গেলেন এর জবাব বাংলার মানুষ দেবে। জ্ঞানেশ কুমার আর শাহ এর জন্য দায়ী। ওদের নামে এফআইআর হওয়া উচিত।"
প্রসঙ্গত, পানিহাটির প্রৌঢ়ের মৃত্যুর ঘটনায় সোশাল মিডিয়ায় গর্জে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, 'পানিহাটির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহাজ্যোতি নগরের সাতান্ন বছর বয়সি প্রদীপ কর আত্মঘাতী হয়েছেন। সুইসাইড নোটে লিখেছেন তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী এনআরসি। এই ঘটনা বিজেপির ভয় এবং বিভেদের রাজনীতির ফল। আমি ভেবে শিউরে উঠছি বিজেপি নিরীহ মানুষদের হুমকি দিচ্ছে, মিথ্যা প্রচার করছে, আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এবং ভোট নিয়ে নিরাপত্তাহীনতাকে অস্ত্র করেছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই দুঃখজনক ঘটনা বিজেপি বিষাক্ত প্রচার কৌশলের ফল। দিল্লিতে বসে ভারতীয়দের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে আর সাধারণ মানুষ বিদেশি বলে ঘোষণার ভয়ে আত্মহত্যা করছেন।” মমতা আরও লেখেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমার আর্জি এই হৃদয়হীন খেলা চিরতরে বন্ধ করুন। বাংলায় এনআরসি বরদাস্ত করবে না। আমাদের মাটি মা-মাটি-মানুষের। যারা ঘৃণার রাজনীতি করে তাদের সহ্য করে না। দিল্লির জমিদাররা স্পষ্ট করে শুনে নিন। বাংলা সুরক্ষা দেবে।'
