নব্যেন্দু হাজরা: নির্বাচন মিটতেই প্রশাসনিক রদবদল(Administration Reshuffle)। একাধিক জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার থেকে মহকুমাশাসক বদল করল নবান্ন। ভোটের সময় বহু আইপিএস, আমলাকে বদলি করেছিল নির্বাচন কমিশন। এবার তাঁদের যথাস্থানে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করল নবান্ন।
ভোটের সময় আইপিএস কোটেশ্বর রাওকে সুন্দরবন পুলিশ জেলা পুলিশ সুপারের পদ থেকে সরিয়েছিল কমিশন। ভোটের কাজে যুক্ত রাখা যাবে না বলে জানিয়েছিল। সেই মতো ট্রাফিক বিভাগের সুপারের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন কোটেশ্বর রাও। এবার তাঁকে সুন্দরবনের পুলিশ সুপারে পদে বহাল করা হল। রাজ্যের বিধায়ক লাভলি মৈত্রর স্বামী সৌম্য় রায়কেও বদলি করা হয়েছিল। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট মিটতেই সৌম্যকে দক্ষিণ-পশ্চিম কলকাতার ডিসি বদলে বহাল করা হল। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার পদে ফিরলেন আইপিএস আধিকারিক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: DA নিয়ে বড় ঘোষণা রাজ্যের, জামাইষষ্ঠীর আগেই সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর]
পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার পদে ফিরলেন ধৃতিমান সরকার। দক্ষিণ-পশ্চিম কলকাতা ডিভিশনের ডিসি ছিলেন রাহুল দে, তাঁকে এসটিএফের ডিসি পদে নিয়োগ করা হল। আশিস মৌর্যকে পুরুলিয়ার এসপি পদে বসিয়েছিল কমিশন, তাঁকে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশে ডিসি পদে নিয়োগ করা হল। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার পদে থাকা ডা. সোনাওয়ানে কুলদীপ সুরেশকে বারাকপুরের ডিসি (সেন্ট্রাল) করা হল। আরও বেশ কয়েকজন আইপিএস আধিকারিককে রদবদল করা হয়েছে।
কাঁথির মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাসকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এদিন তাঁকে ফের বহাল করা হল। মিনাখাঁর মহকুমাশাসক পদে ফিরলেন আমিনুল ইসলাম খান।