সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও অভিমান নেই। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। বিধাননগর পুরনিগমে চেয়ারম্যান পদ পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া সব্যসাচী দত্তের (Sabyasachi Dutta)। পুর এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করাই লক্ষ্য, বললেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
নেতৃত্বের প্রতি তৈরি হয়েছিল ক্ষোভ। গত লোকসভা ভোটের পর দলবদল করেছিলেন সব্যসাচী দত্ত। আর তারপর চাপে পড়ে বিধাননগর পুরনিগমের (Bidhannagar Municipal Corporation) মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয় তাঁকে। বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইও করেন। তৃণমূল প্রার্থী সুজিত বসুর কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার পরই সিদ্ধান্ত বদল। বিজেপি থেকে ফের তৃণমূলে ফেরা। এরপর বিধাননগর পুরভোটে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে টিকিট পান সব্যসাচী। জয়ও পান। অনুগামীরা ভেবেছিলেন এবারও ফের বিধাননগরের মেয়র হিসাবে তৃণমূল তাঁর উপরেই আস্থা রাখবে। তবে বাস্তবে তা ঘটল না। কারণ, সব্যসাচী নন। বিধাননগরের দায়িত্বে কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
[আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান, ফের তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই]
দলের এই সিদ্ধান্তে কী কার্যত আফশোসই হচ্ছে সব্যসাচীর? যদিও তা মানতে নারাজ তৃণমূল নেতা। তাঁর মতে, “ভুল পথে হেঁটেছিলাম। তারপরেও দল ফিরিয়ে নিয়েছে। পুরভোটে টিকিট পেয়েছি। জিতেছি। এটাই বড় কথা। দলনেত্রী আমার অভিভাবক। বাড়ির বাচ্চা যদি ভুল করে যেমন বড়রা কাছে টেনে নেয়। তেমনই হয়েছে। আমার কোনও অভিমান নেই।” কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে একযোগে কাজ করার বার্তাও দিয়েছেন বিধাননগর পুরনিগমের চেয়ারম্যান। বিধাননগরের উন্নয়নের স্বার্থে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি।
বিধাননগরের মেয়র হিসাবে নাম ঘোষণা হওয়ার পরই আবেগে ভাসলেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী (Krishna Chakraborty)। চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি। কেঁদে ফেললেন আর বললেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আমার মায়ের মতো। তাঁকে দেখেই একসময় কলেজে পড়া মেয়েটি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিল। মাথার উপর উনি আমাদের ছাতা। যখন একের পর এক কর্মী মার খেয়েছে তখন প্রতিবাদের ভাষা হয়ে রুখে দাঁড়িয়েছেন দিদিই। বিধাননগর আমার পরিবার। পরিবারের উন্নতির স্বার্থে এগিয়ে চলাই লক্ষ্য। সকলকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে।”