রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার দিলীপ ঘোষের নিশানায় ‘দিদির দূত’। তৃণমূলের এই কর্মসূচির পালটা হিসাবে ‘দিল্লির দূত’দের কথা বললেন তিনি। ‘দিল্লির দূত’ হিসাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের কথা বলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।
শনিবার সকালেও ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণ সেরে বেরনোর পর ‘দিদির দূত’কে নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, “দিল্লির দূত এখন বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে। ব্যাংক, বিডিও অফিসেও পৌঁছে যাচ্ছে। রাজ্যবাসী শীতে কাঁপছে। তৃণমূল নেতারা সিবিআইয়ের ভয়ে কাঁপছে। দিদির সুরক্ষা কবচ তৃণমূল নেতাদেরই লাগবে।” দিলীপ ঘোষকে পালটা জবাব দিয়েছেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর কটাক্ষ, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি ইকো পার্কে হাঁটার পর রোজ সকালে যা ইচ্ছা হয় তাই বলেন দিলীপবাবু। প্রচারের আলোয় থাকার জন্য এসব করেন তিনি।”
[আরও পড়ুন: সিউড়ির সমবায় ব্যাংকে মৃতেরও অ্যাকটিভ অ্যাকাউন্ট, সিবিআই তদন্তে প্রকাশ্যে নয়া তথ্য]
উল্লেখ্য, চলতি বছরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে প্রত্যেকটি সরকারি প্রকল্প রাজ্যবাসীর কাছে পৌঁছনোই লক্ষ্য। তৃণমূলের তরফে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ চালু করা হয়েছে। বাংলার ১০ কোটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছবেন ‘দিদির দূত’রা। এক-একটা দলে থাকবেন ৫ জন। প্রত্যেকের হাতে থাকবে দলের নির্দিষ্ট ব্যান্ড ও বুকে থাকবে ব্যাজ। প্রতিটি পরিবারকে সময় দিতে হবে আধঘণ্টা। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তাঁরা মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনবেন। হাতে তুলে দেবেন ‘দিদির চিঠি’।
প্রতিটি বাড়িতে কে কোন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন, তা জানতে হবে। আবার কারা কোন প্রকল্পের জন্য যোগ্য তাও জানতে এবং জানাতে হবে। কোনও অভিযোগ থাকলে তা ‘দিদির দূত’ অ্যাপে রেজিস্ট্রার করতে হবে। বাড়ির প্রতিটি সদস্যের ফোনে কিউআর কোড স্ক্যান করে ডাউনলোড করে দিতে হবে অ্যাপটি। দিতে হবে দলের ক্যালেন্ডার। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হলে বাড়ির দরজায় দলের দেওয়া স্টিকার লাগিয়ে দেবেন ‘দিদির দূত’রা।