বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: হুমকি দিয়েও নমনীয় হলো গেরুয়া শিবির। উৎসবের মাঝে বিধানসভার (West Bengal Assembly Elections) অধিবেশনে যোগ দেওয়া সম্ভব নয়। চিঠি দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধেই অবস্থান বদল বিজেপি পরিষদীয় দলের। কালীপুজোর আগে একদিন ও জগদ্ধাত্রী পুজোর পর তিনদিন অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল গেরুয়া শিবির। অন্যান্য দিন বিধানসভায় এলেও অধিবেশনে যোগ দেবেন না বিজেপি বিধায়করা। সিদ্ধান্ত বদলের পিছনে আর্থিক কারণ রয়েছে বলে পরিষদীয় দল সূত্রে খবর। যদিও উৎসবের দিনগুলিতে অধিবেশন হবে না বলে জানান পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)।
১ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলার কথা। কিন্তু এর মধ্যে কালীপুজো, ভাইফোঁটা, জগদ্ধাত্রী পুজো ও আদিবাসীদের উৎসব থাকায় অধিবেশন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায় বিজেপি পরিষদীয় দল। কিন্তু সিদ্ধান্ত অনড় অধ্যক্ষ জানান, সিদ্ধান্ত বদলের কোনও প্রশ্নই নেই। অধিবেশন সঠিক সময়ে হবে। অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তের পরই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে অবস্থান বদলের সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি (BJP) পরিষদীয় দল।
[আরও পড়ুন: Alapan Banerjee: ‘ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন’, আলাপন ইস্যুতে কলকাতা হাই কোর্টে মুখ পুড়ল কেন্দ্রের]
জানা গিয়েছে, শুরুর দিন ও জগদ্ধাত্রী পুজোর পর তিনদিন অধিবেশনে যোগ দেবে গেরুয়া শিবির। বাকি দিন বিধানসভায় এলেও অধিবেশনে যোগ দেবে না। কেন এমন সিদ্ধান্ত? পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, অধিবেশনের চলাকালীন অতিরিক্ত ভাতা পান বিধায়করা। অনেক বিধায়কই আছেন যারা অর্থিকভাবে দুর্বল। তাঁদের কথা চিন্তা করেই এমন সিদ্ধান্ত। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
[আরও পড়ুন: মার্চে মাধ্যমিক, এপ্রিলে উচ্চমাধ্যমিক, স্কুলে গিয়ে খাতা কলমেই পরীক্ষা, জমা পড়ল প্রস্তাব]
আবার অধিবেশন চলাকালীন বসার জায়গা নিয়ে সমস্যায় বিরোধী শিবির। তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট ঘরটি সংস্কার হচ্ছে। আপাতত বসার জন্য বিজেপির তরফে নৌশার আলি কক্ষ অথবা গত বিধানসভায় বামেদের জন্য নির্দিষ্ট ঘরটি ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানান হয়েছে।